সংক্ষিপ্ত
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মুখ খুলবেন রাজীব সিনহা। বলেন ভোট শান্তিপুর্ণ তা এখন বলা সম্ভব নয়। ৬০০ র বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
পঞ্চায়েত ভোট বেলাগাম সন্ত্রাস । ক্রমশইন বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকা নিয়ে। এই অবস্থায় রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে মুখ খুলবেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তিনি বলেন, 'পঞ্চায়েত নির্বাচনকে শান্তিপুর্ণ বলা ঠিক সম্ভব নয়।'
নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেছেন, অপরাধের ঘটনা ঘটলে মামলা দায়ের করা হয়। তারপর তদন্ত ও গ্রেফতারির ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেছেন, পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, পঞ্চায়েত ভোট কেমন হয়েছে তা এখনও পুরোপুরিভাবে বলার সময় আসেনি। তিনি আরও বলেন, ঘন ঘন অভিযোগ আসছে। এখন নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি তবে প্রায় ৬০০র মত অভিযোগ জমা পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন।
তবে শান্তিপুর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ছবিটা উধাও হয়ে গেছে। এপর্যন্ত উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই আশান্তির ছবি প্রকট হচ্ছে। এই অবস্থায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে ভোটে হিংসার কারণে। সব মিলিয়ে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাত জন কর্মী খুন গয়েছ। লালগোলায় ও আউশগ্রামে দুই সিপিএম কর্মী আর নওদায় এক কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর এদিন নির্বাচন শুরুর প্রায় চার ঘণ্টা পরে কমিশনের দফতরে আসেন কমিশনার রাজীব ঘোষ। তারপরই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হিসেবপত্র চেয়ে চিঠি পাঠান জেলা শাসকদের। কোন বুথে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে জেলা শাসকদের। তবে রাজীব সিনহার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। নির্বাচনের দিন কেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার দেরীতে অফিসে ঢুকলেন তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। রাজ্যে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুপারি কিলার বলেও অভিহিত করেছেন।
বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে বেনজির হিংসা। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত শাসক ও বিরোধী মিলিয়ে ১১ জনের প্রাণ গেল। পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে যে সন্ত্রাস শুরু হয়েছিল তা অব্যাহত রইল ভোটের দিনও। শনিবার সকাল থেকে বোমা গুলিতে উত্তপ্ত হয়ে ছিল গণতন্ত্রণের উৎসবমঞ্চ। পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে এপর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মালদা ,মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার -সহ রাজ্যের একাধিক এলাকায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুনঃ
'কালীঘাট চলো অভিযান'এর ডাক শুভেন্দুর , বললেন গুলি করলে ১০-২০ মরবে কিন্তু বাংলা বাঁচবে
দাউ দাউ করে জ্বলছে ব্যালট বাক্স, ভোট সন্ত্রাস আর দেদার ছাপ্পার নজিরবিহীন ছবি দিনহাটায়