- Home
- West Bengal
- Kolkata
- ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনের দিনে নস্টালজিয়ায় ভাসলেন মুখ্যমন্ত্রী, 'সাফল্যের কেক' নিয়ে অতীত স্মৃতিতে ডুব মমতার
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধনের দিনে নস্টালজিয়ায় ভাসলেন মুখ্যমন্ত্রী, 'সাফল্যের কেক' নিয়ে অতীত স্মৃতিতে ডুব মমতার
Mamata Banerjee On Kolkata Metro: শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে উদ্বোধন হয়ে গেল কলকাতার নয়া তিন রুটের মেট্রো পথের। শহরে নতুন রুটের মেট্রোর উদ্বোধনে আমন্ত্রিত থাকলেও সেখানে না গিয়ে স্মৃতিচারণায় ডুবলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মেট্রো উদ্বোধনের দিন স্মৃতির সাগরে ডুব মুখ্যমন্ত্রীর
যতবারই সংবাদ শিরোনামে কলকাতা মেট্রো ততবারই উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। কারণ, তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন আন্তঃশহর মেট্রো সম্প্রসারণের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন বলে বারবার একথা দাবি করেন বর্তমানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর কালের নিয়মে গঙ্গা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। তিনিও এখন আর রেলমন্ত্রী নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই তো শুক্রবার শহরে তার প্রস্তাবিত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধনের দিন মোদীর সঙ্গে একই মঞ্চে থাকার আমন্ত্রণ পেলেও সেখানে না গিয়ে কিছুটা স্মৃতিচারণায় ভাসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতিবিজড়িত পোস্ট
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শহরে পা রাখার আগেই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কলকাতা মেট্রোর উন্নয়নের জন্য কী কী কাজ করে গিয়েছেন সেই ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ‘’ভারতের রেলমন্ত্রী হিসেবে কলকাতায় অনেকগুলি মেট্রো রেল করিডরের পরিকল্পনা করা ও অনুমোদন দেবার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। এটা বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই যে, এই শহরের বিভিন্ন প্রান্তকে (যেমন - জোকা, বেহালা, তারাতলা, গড়িয়া, নোয়াপাড়া, দক্ষিণেশ্বর, বিমানবন্দর, দমদম, সেক্টর ফাইভ, ইত্যাদি) একটি মহানাগরিক মেট্রো গ্রিড-এ সংযুক্ত করার জন্য যাবতীয় কাজ - তার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করা, প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করা, সময়ে কাজ শুরু করা – সব কিছুই করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।''
ব্লু থেকে গ্রীন সব মেট্রো লাইনের সূচনা মমতার হাত ধরে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লেখেন, ‘’টালিগঞ্জ–গড়িয়া, দমদম–গড়িয়া, দক্ষিণেশ্বর–দমদম, সল্টলেক–হাওড়া - এই সব সংযোগেরই সূচনা আমার হাত দিয়ে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেলপথের রুটও বাস্তবসম্মতভাবে পরিবর্তন করে তার রূপায়ণের পথ আমি প্রশস্ত করি। এই সব কাজের জন্য মেট্রো রেলওয়ের একটি পৃথক জোনও আমি কলকাতায় করি। সারা ভারতে ২০টি জোন ছিল, এটি অধিকন্তু নূতন হয়। ওয়ার্ল্ড ক্লাস স্টেশন তৈরীর ঘোষণাও ছিল আমার।''
মেট্রো সম্প্রসারণে বিনামূল্যে জমি দান
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘’এটা আমার গর্ব, পরে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে আমার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। রাজ্যের তরফ থেকে বিনামূল্যে জমি দেওয়া, রাস্তা তৈরি করে দেওয়া, বাস্তুচ্যুত মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা সহ যাবতীয় বাধা-বিঘ্ন সরিয়ে যাতে দ্রুতগতিতে কাজ সম্পন্ন হতে পারে তার বন্দোবস্ত আমরাই করেছিলাম। রাজ্যের মুখ্যসচিবরা ধারাবাহিকভাবে একাধিক কোঅর্ডিনেশন মিটিং করেছেন যাতে নির্বাহী বিভিন্ন এজেন্সির মধ্যে সমন্বয় বজায় থাকে, কাজে সুবিধা হয়।''
পুরনো স্মৃতি হাতড়ে নস্টালজিয়ায় ভুগছেন মুখ্যমন্ত্রী!
‘’এককথায়, রেলমন্ত্রী হিসেবে যে পরিকল্পনাগুলো করেছিলাম, সেগুলো ফিল্ডে যাতে সঠিকভাবে শেষ হয় তার ব্যবস্থাও আমরাই করেছিলাম- এই সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।মেট্রো পরিকাঠামো সম্প্রসারণ আমার একটি দীর্ঘ সফরের অন্যতম অংশ। আজ আমাকে কিছুটা নস্টালজিক হতে দিন।''
আজ একটু স্মৃতি-তাড়িত হতে দিন।
ভারতের রেলমন্ত্রী হিসেবে কলকাতায় অনেকগুলি মেট্রো রেল করিডরের পরিকল্পনা করা ও অনুমোদন দেবার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। এটা বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই যে, এই শহরের বিভিন্ন প্রান্তকে (যেমন - জোকা, বেহালা, তারাতলা, গড়িয়া, নোয়াপাড়া, দক্ষিণেশ্বর,…— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 22, 2025

