সংক্ষিপ্ত
বড়দিনের দিন থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল দেখছে বাঙালি। আজও ভোরের দিকে ঘন কুয়াশা ছিল শহরজুড়ে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির বদল হবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
বছর শেষে আর চরল তাপমাত্রার পারদ। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে গত ২৩ ডিসেম্বর থেকেই ঊর্ধ্বমূখী বাংলার তাপমাত্রা। চলতি বছরেই ১২ বছরের সবচেয়ে উষ্ণ বড়দিন কাটিয়েছে বাঙলি। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেও রীতিমত ফ্যান চালাতে হচ্ছে শহরবাসীকে। এখন প্রশ্ন তবে কি এই বছরের মতো শীতের বিদায়? নাকি নতুন বছরে পড়বে জাঁকিয়ে শীত? অন্যদিকে ঘূর্ণাবর্তের জেরে রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে জ্বলীয় বাষ্প ঢুকে পড়ায় ঘন কুয়াশা তৈরি হচ্ছে। বড়দিনের দিন থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল দেখছে বাঙালি। আজও ভোরের দিকে ঘন কুয়াশা ছিল শহরজুড়ে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির বদল হবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
গতকালের তুলনায় আরও একটু বাড়ল সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আজ ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ভোরের দিকেও তেমন ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়বে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। সকাল থেকেই কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে রয়েছে গোটা শহর। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমবে কুয়াশার প্রভাবও। সারাদিন আকাশ প্রায় পরিষ্কারই থাকবে। এই মুহূর্তে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী পরশু থেকেই হাওয়া বলদের সম্ভাবনা আছে বলেও হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কাটলেই ধীরে ধীরে বঙ্গে কমবে তাপমাত্রা।
বছর শেষ হতে আর বাকি মাত্র চার দিন। এদিকে এখনও দেখা নেই শীতের। ২৩ তারিখ থেকেই বাড়তে শুরু করেছিল তাপমত্রা। গত কালও স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ খানিকটা বেশি ছিল তাপমাত্রা। আজও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় ৫ ডিগ্রি বেশি। বছরের শেষ সপ্তাহের শুরুতেই ঘন কুয়াশায় ঘুম ভাঙল শহরবাসীর। ভোরের দিকেও শিরশিরে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে না। আজ শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ডিগ্রি বেশি। ২৬ ডিসেম্বর সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় চার ডিগ্রি বেশি। সকাল থেকেই জ্বলীয় বাষ্পের কারণে ঘন কুয়াশা শহরজুড়ে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি বদলাবে বলেও জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। আকাশ মূলত পরিষ্কারই থাকবে। এই মুহূর্তে বৃষ্টিপাতেরও কোনও সম্ভাবনা নেই। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯৪ শতাংশ।
বড়দিনেও দেখা মেলেনি শীতের। চলতি বছরে কার্যত উষ্ণ বড়দিন কাটিয়েছে শহরবাসী। সকাল দিকে শিরশিরে ঠান্ডা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থির বদ ঘটবে বলে জানা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমূখী তাপমাত্রার পারদ। সৌজন্যে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত। যার প্রভাবে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে উত্তর পশ্চিমের শীতল হাওয়া। ফলে বছর শেষ হতে চললেও দেখা নেই শীতের। মাঝে কয়েকদিন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে গেলেও তা স্থায়ী হয়নি। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনেও কনকনে ঠান্ডা উপভোগ করতে পারল না বঙ্গবাসী। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে দুই বঙ্গেই প্রচুর পরিমাণে জ্বলীয়বাষ্প প্রবেশ করেছে। ফলে বড়দিনের দিন সকাল থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন শহর। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার আকাশই দেখল কলকাতা।
আরও পড়ুন -
বছরের শেষ সপ্তাহেও দেখা নেই শীতের, চলতি বছরে কি ঠান্ডার আমেজ পাবে না বঙালি?
‘নাচিবি ঘিরি ঘিরি, গাহিবি গান’, বাঙালির বড়দিনের আলোয় ভাইরাল হল পার্ক স্ট্রিটের সান্তা-জুটির নাচ
উৎসবের মরশুমে জনজোয়ার শহরে, বাড়তি সতর্কতা কলকাতার হোটেলগুলিতেও, চলছে কড়া নজরদারি