সংক্ষিপ্ত
স্বপন দাশগুপ্ত আরও যোগ করেছেন, “আপনি যেমন জানেন, আমরা শিক্ষা খাতে দুর্নীতি নিয়ে প্রচুর বিতর্ক দেখেছি যার ফলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ প্রায় অর্ধেক শিক্ষা দফতর এখন জেলে রয়েছে। রাজ্য জুড়ে দুর্নীতির পরিমাণ গভীরভাবে উদ্বেগজনক।
রাজ্যের বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত বুধবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আক্রমণ করেন এবং রাজ্যের জন্য তার অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “আমি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের অগ্রাধিকার নিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন তুলছি। বিশেষ করে শিক্ষা নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষাপটে যা সমাজকে প্রভাবিত করছে।”
স্বপন দাশগুপ্ত আরও যোগ করেছেন, “আপনি যেমন জানেন, আমরা শিক্ষা খাতে দুর্নীতি নিয়ে প্রচুর বিতর্ক দেখেছি যার ফলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী সহ প্রায় অর্ধেক শিক্ষা দফতর এখন জেলে রয়েছে। রাজ্য জুড়ে দুর্নীতির পরিমাণ গভীরভাবে উদ্বেগজনক। তার উপরে, বিভিন্ন লোককে ভাইস চ্যান্সেলর হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে, যা নিয়ে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাই রাজ্যপালের একটা বিশেষ দায়িত্ব আছে। আমি বিশ্বাস করি যে তার বইয়ের প্রকাশ এবং অনুবাদ নিয়ে রাজ্য প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর সাথে একরকম সমঝোতায় না গিয়ে এই সমস্যাগুলির কিছু সমাধান করা উচিত”।
উল্লেখ্য, বাংলার প্রতি বাংলা ভাষার প্রতি নিজের অনুরাগের কথা বারবারই জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুধু তাই নয় নিজেকে 'বাংলার দত্তক পুত্র' বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বড়দিনেও বাংলায় বই লেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন তিনি। নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের শতবর্ষ উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যপাল বলেছিলেন,'এই বাংলা সোনার বাংলা। এখানে শিল্প সাহিত্য, সংস্কৃতির বিস্তর চর্চা হয়।' শুধু তাই নয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাবুলিওয়ালা গল্প ও সেই গল্পের মুখ্য চরিত্র 'মিনি' কী ভাবে তাঁর মনে দাগ কেটেছে সে অনুভূতিও তিনি ব্যক্ত করেছেন। তিনি আরও বলেছিলেন, 'বাংলার এই সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে আমি অনেক দিন ধরেই পরিচিত। আমাকে এই বাংলা বহু কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে। '
সরস্বতী পুজোর দিন রাজভবনে অনুষ্ঠিত হয় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হাতেখড়ি। বাংলা ভাষা শিক্ষার পথে প্রথম পদক্ষেপ তাঁর। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুধু তাই নয় আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও।
তবে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান এবং প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে ভাল সম্পর্ক হয়তো ঠিক হজম হচ্ছে না বিজেপি নেতাদের বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। প্রবীণ বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত এই বিষয়টি নিয়েই খোঁচা মারলেন রাজ্যপালকে।