রাজ্য বাজেট পেশ হওয়ার দিনই সামনে চলে এল বড় তথ্য।
গত সপ্তাহে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থানের একটি পরিষ্কার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বুধবার, রাজ্য বাজেট পেশ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, কোথায় কত কর্মসংস্থান হবে।
মমতার কথায়, “এই বাজেটে আমার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে। তা হল কর্মসংস্থান।”
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে এটিই ছিল রাজ্য সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে ‘ভোট অন অ্যাকাউন্ট’ পেশ হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। এরপর নতুন সরকার এসে পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবে। সাধারণত সেটাই রীতি। ফলে, বুধবারের বাজেট মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আগামী বিধানসভা ভোটে যাওয়ার মঞ্চও বটে। এটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেই মঞ্চের প্রথম ধাপেই লেখা রয়েছে ‘কর্মসংস্থান’।
বানতলা চর্মনগরীতে ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষ মানুষ কাজ করছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। এদিকে যে পরিমাণ বিনিয়োগ সেখানে আসছে, তাতে আরও আড়াই লক্ষ কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, রাজ্যে ৬টি রাস্তা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে রাস্তাগুলির দুই ধারে গড়ে উঠবে শিল্প। রঘুনাথপুর-তা়জপুর, ডানকুনি-ঝাড়গ্রাম, ডানকুনি-কল্যাণী, ডানকুনি-কোচবিহার, খড়্গপুর-মোড়গ্রাম এবং পুরুলিয়া-জোকা-কলকাতা, এই ৬টি করিডর তৈরির প্রস্তাব রাখা হয়েছে এই বাজেটে। ২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষে এই ৬টি রাস্তারই নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
যে খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে মোট ৪,৪০০ কোটি টাকা। মমতার কথায়, “রাস্তার কাজ হতে হতে যাবে। পাশাপাশি চাকরিও হতে হতে যাবে।”
তিনি আরও যোগ করেছেন, “গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। পাশাপাশি শহরের অর্থনীতিও পুষ্ট হবে। আমরা আসলে মেলবন্ধন করতে চাই।” বাংলার ছেলেমেয়েরা যাতে রাজ্যেই কাজ পান এবং তাদের যাতে অন্যত্র কোথাও যেতে না হয়, সেই ব্যাপারেও যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
