সংক্ষিপ্ত
২০২৩ সালে এক নামী ওড়িশি নৃত্যশিল্পীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। যার ভিত্তিতে, নবান্নের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্ত করে লালবাজার।
বিপদ যেন কাটছেই না রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। কিছুদিন আগেই শ্লীলতাহানি,কুপ্রস্তাব এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। বোসের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী স্টাফ। রীতিমত তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। এবার ফের বিপাকে পড়লেন তিনি।
ধর্ষণের অভিযোগে নাম জড়াল রাজ্যপালের ভাইপোর। সূত্রের খবর হেয়ার স্ট্রিট থানায় জিরো এফআইআর-এ রাজ্যপালের ভাইপোর নাম রয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই FIR-র কপি দিল্লি পুলিশকে পাঠিয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানা। ২০২৩ সালে এক নামী ওড়িশি নৃত্যশিল্পীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। যার ভিত্তিতে, নবান্নের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্ত করে লালবাজার।
জানা যায়, গত বছর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী। অভিযোগকারীর দাবি, অনুষ্ঠানের কথা বলে গত জুন মাসে অনুষ্ঠানের কথা বলে তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। সেইসময় রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে রাখা হয়েছিল ওই মহিলাকে।
অভিযোগ, রাজ্যপালের ভাইপোই দিল্লিতে হোটেল বুক করেছিলেন। সেই বিষয় অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। আর সেখানেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনেন ওই মহিলা নৃত্যশিল্পী। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে পুলিশি বাধায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। এরপর আদালতে মামলা করেন শুভেন্দু। সরব হন রাজ্যপালও। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রাজ্যপালের ভাইপোর নামেও জিরো এফআইআর।
যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলে প্রথমে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ওই নৃত্যশিল্পী। এরপরই নবান্নের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে নবান্নের তরফে কলকাতা পুলিশকে এ বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত শেষ করে গত মাসেই তার রিপোর্টই নবান্নে জমা দেয় লালবাজার।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।