সংক্ষিপ্ত

এই মুহূর্তে এসএসকেএম হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের গণ-কনভেনশন। আর সেখান থেকেই বড় বার্তা দিলেন তারা।

এই মুহূর্তে এসএসকেএম হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের গণ-কনভেনশন। আর সেখান থেকেই বড় বার্তা দিলেন তারা।

শুক্রবার, আরজি কর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে এবং বিচারের দাবিতে এই গণ-কনভেনশনের ডাক দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। দীর্ঘদিন রাস্তায় থেকে আন্দোলন এবং অবস্থান চালিয়েছেন তারা। সেই তীব্র আন্দোলনের চাপে সরকার তাদের একাধিক দাবি মেনে নেওয়ার পর কাজে যোগ দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু সঙ্গে তারা এও জানান, আন্দোলন থামেনি।

তাই এদিন ফের একবার গণ-কনভেনশনের ডাক দিলেন ডাক্তারবাবুরা। তবে সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিদেরকেই তারা এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট’-এর মতে এই আন্দোলন শুধু তাদের একার নয়, সবার। বাস্তবে বহু সাধারণ মানুষ এই প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন এবং জুনিয়র ডাক্তারদের দিকে সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ

‘আগুন এখনও নেভেনি’ বার্তা দিয়েই গণ-কনভেনশন শুরু করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা, কী আলোচনা হচ্ছে?

তাই জুনিয়র ডাক্তাররা সকলকেই আমন্ত্রন জানান এই গন-কনভেনশনে। এছাড়াও প্রবীণ চিকিৎসক, বিশিষ্ট অভিনেতা, চিত্র পরিচালক, আইটি কর্মী এবং মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল-মহামেডান সমর্থকরাও এদিন এই গণ-কনভেনশনে যোগ দেন।

আর এই কনভেনশন থেকেই দুটি বড় কর্মসূচি ঘোষণা করে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর, ‘পাড়ায় থাকছি একসাথে, উৎসবে নয় প্রতিবাদে’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তারা। অন্যদিকে, ওই দিন বিচারের দাবিতে রাজপথ থেকে অলিগলি ভরানোর জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

এরপর আগামী ২ অক্টোবর, অর্থাৎ মহালয়ার দিন রয়েছে আরও বড় কর্মসূচি। সেইদিন তারা মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন। সেই মিছিলের পর ধর্মতলায় মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঐ দিন দুপুর ১টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা।

অন্যদিকে এই গণ-কনভেনশনে এসে সমাজকর্মী মীরাতুন নাহার বলেন, “যে ব্যক্তি রাজ্যের সর্বত্র ধ্বংসের বীজ বপন করে চলেছেন, তাঁর নাম কৃষ্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়।”

সেইসঙ্গে, জুনিয়র ডাক্তার অনিকেতের কথায়, “ন্যায়বিচার কেউ পাচ্ছেন না। তাই আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। তাই এই সলতে যেন নিভে না যায়। এই অঙ্কুরকে বিনষ্ট হতে দেবেন না। এটা জুনিয়র ডাক্তারদের তরফ থেকে আপনাদের কাছে অনুরোধ।”

এদিন এই গণ-কনভেনশনে উপস্থিত হন বিশিষ্ট অভিনেতা তথা সঞ্চালক মীর। তিনি বলেন, “এটাই আসল ছবি, যা টানা ৫০ দিন ধরে চলছে। আমরা বিচার চাই। মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে ফিরতে বলেছিলেন। আর ডাক্তাররা বন্যা ত্রাণ দিতে গিয়ে উৎসবে ফিরেছেন। আমরা যা পারিনি, তা ডাক্তারবাবুরা করে দেখিয়েছেন। এটা আসলে মানবিকতার উৎসব। এতে কোনও ভেদাভেদ নেই।”

তিনি আরও যোগ করেন, “যারা মুখ খুলতে পারেন না, তাদের এত কিসের ভয়? পুরস্কার না পাওয়ার ভয় কি? সবাইকে শারদ শুভেচ্ছা।”

অপরদিকে, চিত্র পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “এই আন্দোলন কিন্তু কোনও স্বাভাবিক আন্দোলন নয়। ডাক্তারদের যখন রাস্তায় বসতে হচ্ছে এবং বিচার চাইতে হচ্ছে, তখন বুঝতে হবে যে, সবকিছু ঠিক নেই। এই সময়গুলি মোটেও সুখের নয়। জুনিয়র ডাক্তারদের বলব, আপনারা একা নন। কোটি কোটি মানুষ আপনাদের সঙ্গে আছেন। সন্দীপ ঘোষরা সব জায়গায় আছেন। তাদের সাফাই করার সময় এসেছে। আপনারা শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। বিচার পেতে সময় লাগবে। কিন্তু আমরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করব। এই ঘটনার নেপথ্যে থাকা প্রত্যেকের শাস্তি হোক।”

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।