সংক্ষিপ্ত

চপার কান্ড নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেলিম এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রীর পা কি মাটিতে থাকছে না!

মঙ্গলবার, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার সেরে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে বাগডোগরার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথেই বিপত্তি। চপার দুর্ঘটনায় পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝপথে আকাশ কালো করে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। পাইলট সঙ্গে সঙ্গে হেলিকপ্টারের মুখ ঘুরিয়ে যে দিকে আকাশ পরিষ্কার, সে দিকে উড়তে শুরু করেন। তলায় বৈকণ্ঠপুরের ঘন জঙ্গল থাকায় তিনি তখনই কপ্টার নামাতে পারেননি। কিছু ক্ষণের মধ্যেই সেবকের এয়ারবেসটি দেখতে পান পাইলট। সেখানেই জরুরি অবতরণ করেন।

এদিকে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা আপাতভাবে সুস্থ রয়েছেন। কিন্তু পরে সূত্র মারফত জানা যায় MRI এবং অন্য পরীক্ষানিরীক্ষা হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, চোট গুরুতরই। কিন্তু হাসপাতালে মমতা থাকতে চাইছেন না বলে খবর। তবে হাসপাতালে ঢোকার পর হুইলচেয়ারে বসতে রাজি না হলেও, আপাতত হুইলচেয়ার ব্যবহার করছেন চিকিৎসকদের পরামর্শে । তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও হুইলচেয়ারে বসিয়েই MRI করাতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তার পর হুইলচেয়ারে বসিয়েই ফেরত নিয়ে যাওয়া হয় কেবিনে। চোটপ্রাপ্ত পা-কে বিশ্রাম দিতে, চিকিৎসকরাই মমতাকে হুইলচেয়ার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

এদিকে, এই চপার কান্ড নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সেলিম এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রীর পা কি মাটিতে থাকছে না! বারবার পায়ে চোট কেন পাচ্ছেন তিনি। প্রতি নির্বাচনের আগেই পায়ে চোট পাচ্ছেন মমতা।

অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ ভোট এলেই কেন পায়ে চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার পায়ে আঘাত মানেই শুভ লক্ষ্মণ নয় কিন্তু। এতেই শেষ নয়। তিনি বলেন, 'মমতা জানেন সবথেকে বড় চোট কোথায়, তাই তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর রক্তচাপ বাড়ার কথা ছিল'। তবে একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন সুকান্ত। মমতার সুস্থতা কামনা করেছেন মহম্মদ সেলিমও।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১০ মার্চ নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজার এলাকায় পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন মমতা। ভোট প্রচারের সময়ই আঘাত পান। সেই সময় তড়িঘড়ি করে তাঁকে আনা হয়েছিল কলকাতা। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পায়ে প্ল্যাস্টার হয়েছিল। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। যা নিয়ে আইন আদালত পর্যন্ত হয়েছিল। যাইহোক ২০২১ সালের নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়েই ভোট প্রচারে সামিল হয়েছিলেন। হুইল চেয়ারে বসে একের পর এক জনসভায় অংশ নিয়েছিলেন। উপস্থিত ছিলেন রোডশোতেও। মোট কথা গোটা প্রচার পর্বই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাটাতে হয়েছিল হুইল চেয়ারে।