সংক্ষিপ্ত

তাঁরা জানিয়েছেন দীর্ঘদিনের এই জমিতে চাষ করেন,এছাড়া নিজ জমির উপর তাদের দোকানপাট রয়েছে। 

জমির মালিকদের অন্ধকারে রেখে জমি হস্তান্তর করছে বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ অর্থাৎ BDA এমন-ই অভিযোগ জমি মালিকদের। প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাল জমির মালিকরা। বর্ধমান শহর সংলগ্ন আলিশা মৌজার পাশ দিয়ে চলে গেছে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই জাতীয় সড়কের পাশে থাকা জমির মালিকদের অভিযোগ, গত ২ অক্টোবর বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ সংস্থার পক্ষ তাদের ডাকা হয়, সেখানেই জানানো হয় ২নম্বর জাতীয় সড়ক সিক্স লেন হবে। এবং তাঁদের জমি BDA-কে হস্তান্তর করতে বলা হয়। যদিও আলিশা মৌজার জমি মালিকরা জমি দেবেন না বলে জানিয়েছেন। আবারও চিঠি করা হয় বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ সংস্থার পক্ষ থেকে যে আগামী ২৪শে অক্টোবর অর্থাৎ রবিরার তাদের নিয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত করবেন। এই অবস্থায় চিন্তিত হয়ে পড়েন আলিশা মৌজার জমির মালিকগণ।

তারা জানিয়েছেন দীর্ঘদিনের এই জমিতে চাষ করেন,এছাড়া নিজ জমির উপর তাদের দোকানপাট রয়েছে। তাদের দাবি,  তারা এই জমিতে দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর ধরে বসবাস করছেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা ট্যাক্স,  খাজনা দিয়ে আসছে। এমত অবস্থায় বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ সংস্থা অন্ধকারে রেখে অবৈধভাবে জমির উপর হস্তক্ষেপ করছেন। তারা তাদের জমি  কোনভাবেই BDA, কে হস্তান্তর করবে না। প্রয়োজনে রাস্তায় শুয়ে আন্দোলন হবে। ইতিমধ্যেই সমস্যার সুরাহা চেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে বলে জানান জমির মালিকরা।

সমস্যা না মিটলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান জমির মালিকেরা। BDA এর অবৈধভাবে হস্তান্তরের প্রতিবাদে আজ  আলিশাতে  ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বিক্ষোভ দেখায় জমির মালিকেরা। বেআইনি ভাবে তাদের জমি হস্তান্তর করা যাবে না এই মর্মে ফ্লাগ, ফেস্টুন হাতে নিয়ে চলে বিক্ষোভ। করা হয় মিছিল। 

এবিষয়ে বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিশিথ মালিক টেলিফোনে বলেন, কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।  BDA যদি এই দাবী করে থাকেন সেটা ঠিক না। জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিলো জমির মালিকেরা তাদের জমির ন্যায্য দাম পাবেন। পাশাপাশি ফার্নিচার এবং দোকান ঘড়ের মূল্যও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষর দেওয়ার কথা হয়েছে। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

YouTube video player