সংক্ষিপ্ত
- রেশন থেকে মিলছে না পর্যাপ্ত খাদ্যসামগ্রী
- লকডাউনে দিন কাটছে অনাহারে
- প্রতিবাদে পথে নামলেন স্থানীয় বাসিন্দারা
- উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে
লকডাউনের জেরে কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। এবার তবে অনাহারে মরতে হবে? বাজারের ব্যাগ, হাঁড়ি, কলসি নিয়ে বিক্ষোভে শামিল হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ চলল দক্ষিণ ২৪ পরগণার মথুরাপুরে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের বাজারে ত্রাণ 'আত্মসাতের চেষ্টা', অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান
করোনা সতর্কতায় লকডাউন চলছে রাজ্যে। দোকানপাঠ খুলছে, তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর আকালে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যাঁদের বিপিএল কার্ড আছে, তাঁদের রেশন থেকে বিনামূল্য চাল, ডাল-সহ খাদ্যসামগ্রী বিলি করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মাথা পিছু দু'কেজি চাল ছাড়া যে কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না! তেমনই অভিযোগ মথুরাপুরে লালপুর এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের দাবি, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যও এলাকার মানুষের কোনও খোঁজখবর রাখেন না। সাহায্য় মিলছে না প্রশাসনের তরফে। এভাবে আর কতদিন চলবে! অবশেষে ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙল। শনিবার সকালে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে পথে নামলেন লালপুরের বাসিন্দারা। কারও হাতে বাজারের ব্যাগ, তো কারও হাতে হাঁড়ি-কলসি। পথ অবরোধ করে চলল বিক্ষোভ। ঘটনার তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সরকারি সাহায্য না মেলা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে। শেষপর্যন্ত কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: করোনা বিধি মানতে গিয়ে বিপদে ব্যবসায়ী, দিনেদুপুরে লুঠ লক্ষাধিক টাকা
আরও পড়ুন: লকডাউনের মধ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি বামেদের, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তুলকালাম রেড রোড
স্রেফ মথুরাপুরেই নয়, লকডাউনের বাজারে রেশনে কারচুরি অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের সর্বত্রই। বিরোধীদের অভিযোগ, রেশনের সামগ্রী চুরি করছেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরাই। দিন কয়েক আগে উত্তর ২৪ পরগণার আমডাঙায় অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছিলেন খোদ ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।