সংক্ষিপ্ত

সামান্য টিকিট বিক্রেতা হয়ে প্রতিদিন অন্য লোকের ভাগ্য ফেরাতেন মুর্শিদাবাদের শ্রীরামপুরের লটারি টিকিট বিক্রেতা নবাব শরিফ খান। আর এবার এক টিকিটেই ফিরল তাঁর নিজের ভাগ্য। আর এই পুরস্কার জিতে বেজায় খুশি নবাব।

বহু দিন ধরেই লটারি (Lottery) বিক্রি করছেন তিনি। তাঁর কাছ থেকে লটারি কেটে অনেকে পুরস্কারও (Prize) পেয়েছেন। আর এভাবে বহু মানুষের মুখেই হাসি ফুটিয়েছেন তিনি। আর এবার হাসি ফুটল তাঁর নিজের মুখেই। অবশেষে এক টিকিটে (Ticket) ফিরল তাঁর নিজের ভাগ্য। জিতলেন ১ কোটি টাকার (1 Crore Rupees) পুরস্কার। এই ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad)। 

সামান্য টিকিট বিক্রেতা হয়ে প্রতিদিন অন্য লোকের ভাগ্য ফেরাতেন মুর্শিদাবাদের শ্রীরামপুরের লটারি টিকিট বিক্রেতা নবাব শরিফ খান। আর এবার এক টিকিটেই ফিরল তাঁর নিজের ভাগ্য। আর এই পুরস্কার জিতে বেজায় খুশি নবাব। তবে খুশি হলেও তার সঙ্গে তাঁর মনে একটা আশঙ্কা রয়েছে। সেই টাকা কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না তিনি। সেই কারণে পুরস্কার জেতার পর সোজা থানার দ্বারস্থ হন। আসলে নুন আনতে পান্তা ফুরোনো সংসারে এই বিপুল পরিমাণ টাকা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। তবে এই টাকা জেতার পর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা (Future Planning) করতে শুরু করে দিয়েছেন তিনি। নিজের একটি সুন্দর বাড়ি ও ব্যবসা শুরু করতে চান বলে জানিয়েছেন নবাব। 

আরও পড়ুন- ৪ মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য কাটতেন লটারি, মাত্র ৬০ টাকাতেই বাজিমাত রায়গঞ্জের দীপকের

প্রতিদিনের মতো সব টিকিটই বিক্রি করে দিয়েছিলেন নবাব। শুধু একটি টিকিট কেটেছিলেন নিজের জন্য। সাধারণ কৌতুহল বশতই ওই টিকিট তিনি কেটেছিলেন। আর তাতেই ফিরল তাঁর ভাগ্য। লটারির টিকিট বিক্রি করে সাধারণ মানুষের ভাগ্য ফেরানোর পেশায় যুক্ত ব্যক্তির প্রতিই এবার সহায় লক্ষ্মীদেবী। তিনি যে ১ কোটি টাকা জিতেছেন তা প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না নবাব। আনন্দে ফেটে পড়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। 

আরও পড়ুন- মাত্র ৩০ টাকাতেই ফিরল ভাগ্য, রাজমিস্ত্রি থেকে কোটিপতি যুবক

লটারিতে এক কোটি পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই নবাবের বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন প্রতিবেশীরা। তবে একসঙ্গে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না নবাব। তাঁর অর্থের উপর যে অনেকেরই নজর পড়তে পারে, সে আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। আর সেই কারণেই লটারি নিয়ে সোজা ফরাক্কা থানায় পৌঁছান তিনি। পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে রাখেন। নবাবের কথায়, "এতদিন লোকের ভাগ্য ফেরাতে টিকিট বিক্রি করেছি এবার নিজের কপাল যে এইভাবে কোটি টাকার মধ্যে দিয়ে ফিরবে তা স্বপ্নেও কোনও দিন কল্পনা করিনি। তবে জীবনে এত টাকা কোনও দিন দেখিনি তাই আশঙ্কাও হচ্ছে যাতে এই টাকা কোনও ভাবে বেহাত না হয়ে যায়। গ্রামের সকলের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করেই আগামী দিনে ভালো কিছু করার ইচ্ছে রয়েছে।"