সংক্ষিপ্ত
মেধা তালিকা প্রকাশের পর অন্যান্য বছরের মত এবছরও পরের বছরের মাধ্যমিকের তারিখ ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
ঠিক সকাল নটায় মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। দশ লক্ষের বেশি ছাত্র ছাত্রী মাধ্যমিক দিয়েছে এই বছর। শুক্রবার সকাল দশটা থেকে জানা যাবে ফল। অনলাইনে মাধ্যমিক ফল দেখা যাবে। কিন্তু সেটা দেখা যাবে সকাল ১০টা থেকে। ওই সময় থেকেই অনলাইনে ফল দেখা যাবে। এবছর প্রথম হয়েছে দুজন।
পরের বছর কবে মাধ্যমিক?
মেধা তালিকা প্রকাশের পর অন্যান্য বছরের মত এবছরও পরের বছরের মাধ্যমিকের তারিখ ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ২৩শে ফেব্রুয়ারি। শেষ হবে ৪ মার্চ।
২৩শে ফেব্রুয়ারি প্রথম ভাষা পরীক্ষা
২৪শে ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ভাষা পরীক্ষা
২৫শে ফেব্রুয়ারি ভূগোল পরীক্ষা
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবছর চলতি মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৮৬.৬ শতাংশ। পরীক্ষায় পাশ করেছে মোট ৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯২৭ জন। চলতি বছরে পাশের হারে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর।পূর্ব মেদিনীপুরে পাশের হার ৯৭.৬৩ শতাংশ।মাধ্যমিকের পাশের হারে দ্বিতীয় স্থানে কালিংপং।
কোভিড বিধি মেনেই এবার হয়েছে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা। পর্ষদের তরফে জানানো নিয়ম মেনেই পরীক্ষা কেন্দ্র বসার সময় মেনে চলা হয় সামাজিক দূরত্ব। পরীক্ষার্থী মাস্ক পরেই পরীক্ষা দেয়। যদিও পরীক্ষাকেন্দ্রে কেউ অসুস্থ হলে এবার ছিল আইসোলেশন রুমের ব্যবস্থাও। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রেই স্বাস্থ্য দপ্তরের মেডিকেল টিম রাখা হয়। প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপি যাতে বাইরে ফাঁস না হয়, সেজন্য নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রের নির্দেশে এবার পরীক্ষা শুরুর আগে বেলা এগারোটা থেকে দুপুর তিনটে অবধি বিভিন্ন জেলার স্পর্শকাতর এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবছর চলতি মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৮৬.৬ শতাংশ। পরীক্ষায় পাশ করেছে মোট ৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯২৭ জন।এই বছর মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন দুইজন বাঁকুড়ার অর্ণব ঘড়াই এবং বর্ধমানের রৌণক মণ্ডল। প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। উল্লেখ্য, দীর্ঘ দুই বছর পর বাইশ সালে অফলাইন পরীক্ষা হয়েছে। চলতিবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও খুব একটা কম নয়। চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৬৩ জন। প্রায় ৫০ হাজার বেড়ে এবার রেকর্ড পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৯ জন। এবং ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০৪ জন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, একুশ সালে পরীক্ষা না দিয়েও ১০০ শতাংশ পাশ করায় এবার পরীক্ষায় বসার বেশ লম্বা আবেদন পত্র জমা পড়ে।