সংক্ষিপ্ত

মূল যে বিষয়টা তাকে সমস্যায় ফেলেছিল, তা হল অনলাইন ক্লাস। অনলাইন ক্লাসে সেভাবে শিক্ষকদের পাশে পাওয়া যেত না, কারণ ইন্টারনেট ছিল মূল অন্তরায়। 

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ। ২০২২ সালে ৬৯০ নম্বর পেয়ে চতুর্থ হয়েছে চারজন। আলিপুরদুয়ার ম্যাকউইলিয়াম হাইস্কুলের ছাত্র অভীক দাস, মালদার অভিষেক গুপ্ত, হুগলির সাগ্নিক কুমার দে ও কলকাতার শ্রুতর্ষি ত্রিপাঠি ৷ চতুর্থ স্থানে থেকে কলকাতা থেকে প্রথম হয়েছে শ্রুতর্ষি ৷ সে কলকাতার পাঠভবনের ছাত্রী। 

সাগ্নিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে জানায় প্রথম দশে থাকবে ভেবেছিল। ভেবেছিল ৬৮০ নম্বর পাবে। কিন্তু ৬৯০ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থানে যাবে, তা যেন ভাবতেই পারেনি। ইতিহাস পরীক্ষা দিয়ে খুব একটা খুশি হয়নি সাগ্নিক। মনমত হয়নি সেই পরীক্ষা। তাই সেই বিষয়ে আশানুরূপ ফলের আশাও করেনি। তবে ইতিহাসের হার্ডল টপকে গিয়েছে সে। 

তবে মূল যে বিষয়টা তাকে সমস্যায় ফেলেছিল, তা হল অনলাইন ক্লাস। অনলাইন ক্লাসে সেভাবে শিক্ষকদের পাশে পাওয়া যেত না, কারণ ইন্টারনেট ছিল মূল অন্তরায়। অফলাইন ক্লাসে যেমন ভাবে সব শিক্ষকদের থেকে নিজের সমস্যা জেনে নেওয়া যেত, সেটা অনলাইন ক্লাসে সম্ভব ছিল না। তবে পরে সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠে পড়াশোনায় মনসংযোগ করেছিল সাগ্নিক। 

ঠিক সকাল নটায় মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। দশ লক্ষের বেশি ছাত্র ছাত্রী মাধ্যমিক দিয়েছে এই বছর। এদিন সকাল ১০ টা থেকে ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখা যাবে, এমনটাই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষা শেষে আড়াই মাসের মধ্যেই বেরোল রেজাল্ট। এদিন সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চলতি বছরে পাশের হারে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর।

মেধা তালিকা প্রকাশের পর অন্যান্য বছরের মত এবছরও পরের বছরের মাধ্যমিকের তারিখ ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ২৩শে ফেব্রুয়ারি। শেষ হবে ৪ মার্চ।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবছর চলতি মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৮৬.৬ শতাংশ। পরীক্ষায় পাশ করেছে মোট ৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯২৭ জন। চলতি বছরে পাশের হারে প্রথম পূর্ব মেদিনীপুর।পূর্ব মেদিনীপুরে পাশের হার ৯৭.৬৩ শতাংশ। মাধ্যমিকের পাশের হারে দ্বিতীয় স্থানে কালিম্পং।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ দুই বছর পর বাইশ সালে অফলাইন পরীক্ষা হয়েছে। চলতি বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও খুব একটা কম নয়।  চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৬৩ জন। প্রায় ৫০ হাজার বেড়ে এবার রেকর্ড পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৯ জন। এবং ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০৪ জন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, একুশ সালে পরীক্ষা না দিয়েও ১০০ শতাংশ পাশ করায় এবার পরীক্ষায় বসার বেশ লম্বা আবেদন পত্র জমা পড়ে।