সংক্ষিপ্ত

দলের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে বোমাবাজি চলে।  তৃণমূল পরিচালিত মুর্শিদাবাদের পঞ্চায়েত সমিতির নারী ও শিশু কর্মাধ্যক্ষ বিজলা বিবির বাড়ির সামনে বোমাবাজি।

শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সন্ধ্যায় বোমাবাজিতে (Bombing) রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডাঙ্গাপাড়া! খবর চাউর হতেই রবিবার ব্যাপক শোরগোল ছড়িয়ে পড়েছে জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র। দলের একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে বোমাবাজি করা হয় তৃণমূল পরিচালিত মুর্শিদাবাদের পঞ্চায়েত সমিতির নারী ও শিশু কর্মাধ্যক্ষ বিজলা বিবির (TMC Leader) বাড়িতে। 

বিজলা বিবির দাবি,“ তার স্বামী প্রাক্তন অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সাজু মন্ডলের ওই হামলার ঘটনার পর প্রাণে বাঁচতে আত্মগোপন করেছেন।” খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছায়। এলাকায় পুলিশ টহলদারি চলছে। 

জানা গিয়েছে, ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় সন্ধ্যায় নবনিযুক্ত তৃণমূল জেলা সভাপতি শাওনী সিংহ রায়কে দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অভিযোগ ওই অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলে তাঁর অনুগামীরা এলাকায় মিছিল করে এবং পরবর্তীতে প্রাক্তন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সাজু মন্ডলের বাড়িতে হামলা চালায়। তার বাড়ি লক্ষ করে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়, ভাঙচুর করা হয় বাড়ির জিনিস পত্র। 

শুক্রবারের নমাজে এবার থেকে তালিবানদের গুরুত্ব বোঝাবেন ইমামরা, জারি ফতোয়া

মুসলিম নয়, শুধু হিন্দুদের আশ্রয় দিচ্ছে ভারত, দিল্লি থেকে বিতাড়িত হয়ে বিস্ফোরক আফগান সাংসদ

Bank Holidays in September : সেপ্টেম্বর মাসে কোন কোন দিনে বন্ধ ব্যাঙ্ক, দেখে নিন তালিকা

বর্তমানে সাজু মন্ডলের স্ত্রী স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। তার পরেও কেন দলের লোকজন এই হামলা চালালো জানতে চাওয়া হলে বিজলা বিবি বলেন, “এসব কিছু হয়েছে জেলা তৃণমূল সভাপতি শাওনী সিংহ রায়ের মদতে। আমরা ২০০৮ সাল থেকে তৃণমূলের সক্রিয় সদস্য। শাওনী দি ২০১৬ সালে তৃণমূল দলে যোগ দিয়েছেন। রাজনৈতিক ভাবে পুরোনো বিবাদের বদলা নিতেই এই আক্রমন।” 

এদিকে এলাকায় জল্পনা শুরু হয়েছে সাজু মন্ডল প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা সাংসদ আবু তাহের খানের ঘনিষ্ট ছিলেন। জেলা নেতৃত্বের রদবদলের পর ইতিমধ্যে ব্লকেও রদবদল শুরু হয়েছে। সাজুকে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সেখানে শাওনী সিংহ রায়ের ঘনিষ্ট মুস্তাকিম শেখকে বসানো হয়।

স্বাভাবিক ভাবেই সাজু এখন দলে কোনঠাসা। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাজুর বিরোধী গোষ্ঠী এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সাজু ঘনিষ্ট রফিকুল ইসলাম থানায় একটি অভিযোগ জমা করেছেন বলেই শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়। 

তবে জেলা তৃণমূল সভাপতি শাওনী সিংহ রায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, “এখানে শাওনী কিংবা আবু তাহের গোষ্ঠী বলে কিছু নেই।  কেউ বা কারা এই কাজ করেছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখবে"।