সংক্ষিপ্ত
- এবার জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে শুভেন্দু
- পুজোর মূল উদ্য়োক্তা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক
- জেলায় তিনি শুভেন্দু অনুগামী হিসেবে পরিচিত
- পরিবহণমন্ত্রী সফর ঘিরে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে
বুদ্ধদেব পাত্র, পুরুলিয়া: এবার আর স্রেফ পোস্টার নয়, 'অনুগামী'র ডাকে জগদ্ধাত্রী পুজোয় উদ্বোধন হাজির হলেন 'দাদা'। যথারীতি পোস্টার-হোর্ডিং ছয়লাপ পুজো মণ্ডপ লাগোয়া এলাকা। পুরুলিয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর সফর ঘিরে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: 'লাভ জিহাদ' আইনের লক্ষ্য কি বাংলার নির্বাচন, বড় প্রশ্ন তুলে দিল বিজেপির পুরোনো সঙ্গী
উৎসবের মরশুমেই তৈরি হচ্ছে রাজনীতির নয়া সমীকরণ? শুভেন্দু অধিকারী নিয়ে কৌতুহলী সকলেই। লকডাউনের আগে থেকে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল তাঁর। এখন দলের ব্যানার, এমনকী দলনেত্রীর ছবি ছাড়াই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে 'অরাজনৈতিক সভা' সভা করছেন শুভেন্দু। কোথাও 'লড়াকু নেতা- অগ্নিযুবক', তো কোথাও 'জঙ্গলমহলের মুক্তিসূর্য'। 'দাদা'র সমর্থনে পোস্টার লাগাচ্ছেন 'অনুগামী'রা। তাহলে কি এবার বিজেপিতে যোগ দেবেন? রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রীকে জল্পনা আরও উসকে দিচ্ছেন গেরুয়াশিবিরের নেতারাই। এসবের মাঝে পুরুলিয়ায় জগদ্ধাত্রী পুজোয় উদ্বোধন করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: 'সৌমিত্রকে ছেড়ে শাহরুখকে কেন ব্র্য়ান্ড অ্য়াম্বাসাডর', মমতাকে খোঁচা দিলীপের
জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া শহরের সরকার পাড়া এলাকার এই জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল উদ্যোক্তা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়। রাজনৈতিক মহলে আবার তিনি শুভেন্দু অনুগামী হিসেবেই পরিচিত। বস্তুত, পুরুলিয়ায় গৌতমকে শুভেন্দুপন্থী সংগঠনের মূল কান্ডারিও বলা চলে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এদিন অনুষ্ঠানে জেলার প্রথমসারির কোনও তৃণমূল নেতাকে কিন্তু দেখা যায়নি। বরং জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতোর মতো দলের একসময়ের পোড়খাওয়া নেতা ও কর্মীদের উপস্থিতি নজর কেড়েছে রাজনৈতিক মহলের।