সংক্ষিপ্ত
- অভাবের সংসারের দায়িত্ব নিয়েছিল নাবালক
- আবর্জনা থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করত সে
- সেখান থেকে আচমকা বিস্ফোরণ
- মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদ
আবারও এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদ। অভাবের সংসারের দায়িত্ব নিয়ে আবর্জনার থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করত এগারো বছরের নাবালক। প্রতি দিন যত্রতত্র পড়ে থাকা প্লাস্টিক সংগ্রহ করে বিক্রি করে উপার্জনের টাকা বাড়ির জন্য নিয়ে যেত। কিন্তু সোমবার দিন তাঁর জীবনে এমন অঘটন ঘটবে। তা হয়তো নিজেও কোনও দিন কল্পনা করেনি ওই ছোট্ট ছেলেটা।
আরও পড়ুন-পুরুলিয়ার শুখা মাটিতে পদ্মের ছায়া, একুশের আগেই দেওয়াল লিখল শুরু করল বিজেপি
প্রতিদিনের মতো এদিনও প্লাস্টিক সংগ্রহ করতে গিয়েছিল কিসমৎ শেখ। আবর্জনার স্তূপে লুকিয়ে থাকা প্লাস্টিক খুঁজে বের করছিল সে। সেই সময় আচমকা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকেরা। তাঁরা দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় আবর্জনার স্তূপে পড়ে রয়েছে কিসমৎ। কাতর যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে সে। বিস্ফোরণের জেরে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় কিসমতের ডান হাত। স্থানীয়রা তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও পড়ুন-খোল বাজালেন 'জনসেবক' শুভেন্দু, নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রামে সূচনা করলেন রাশ উৎসবের
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার জনিমোড় এলাকায়। ঘটনাস্থলে ফরাক্কা থানার পুলিশ পৌঁছে স্থানীয় বেনিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে ছোট্ট ছেলেটার অবস্থার অবনতি হলে তড়িঘড়ি জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছেলের এই অবস্থার খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মা। বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। আবর্জনার স্তূপে কোথা থেকে বোমা এল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিস্ফোরণের জেরে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা।