সংক্ষিপ্ত
চেন্নাইয়ের (Chennai) একটি মোবাইল নম্বর থেকে এসেছে মেসেজটি। মেসেজে লেখা হয়েছে, শনিবার ল্যান্সডাউন মার্কেটের কাছে কয়লা ব্যবসায়ীর অফিসে যে গুলি চালানো হয়েছে তা শুধু আওয়াজ শোনানোর জন্য। এর পরের বারে যদি আমন সাউয়ের কথা শোনা না হয়, তাহলে গুলি করে খুলি উড়িয়ে দেওয়া হবে।
অফিসের সামনে এসে দাঁড়াল একটি মোটরবাইক (Bike)। সেখানে থেকে দুজন নামল। তাদের মুখে কালো মাস্ক। অফিসের মালিকের সঙ্গে দেখা করতে চায় তারা। কিন্তু, নাম বলতে না পারায় ভিতরে ঢোকার অনুমতি পায়নি। এরপরই বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে ওই দুটি ছেলে। ব্যবসায়ীর নিরাপত্তারক্ষীরা (Security Guard) তাদের ধরে গেলে পালিয়ে যায় তারা। যাওয়ার সময় গুলি চালায়। যার শব্দ এলাকার সকলেই পেয়েছেন। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে শরৎ বোস রোডে। এবার এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এল একটি মেসেজ।
চেন্নাইয়ের (Chennai) একটি মোবাইল নম্বর থেকে এসেছে মেসেজটি। মেসেজ যে পাঠিয়েছে, সে নিজেই ঝাড়খন্ডের মাফিয়া আমন সাউয়ের সঙ্গী মায়াঙ্ক সিং বলে দাবি করেন। মেসেজে লেখা হয়েছে, শনিবার ল্যান্সডাউন মার্কেটের কাছে কয়লা ব্যবসায়ীর অফিসে যে গুলি চালানো হয়েছে তা শুধু আওয়াজ শোনানোর জন্য। এর পরের বারে যদি আমন সাউয়ের কথা শোনা না হয়, তাহলে গুলি করে খুলি উড়িয়ে দেওয়া হবে। কলকাতায় বসে ঝাড়খন্ডে কয়লার ব্যবসা করতে গেল আমনকে টাকা দিতে হবে।
জানা গিয়েছে, ঝাড়খন্ডের জেলে বন্দি আছেন, মাফিয়া আমন সাউ। রাঁচি, হাজারিবাগ, ধানবাদ, আসানসোল এলাকায় তার রজত্ব। রিয়েল এস্টেট, প্রোমিটিং-সহ একাধিক ব্যবসার (Business) সঙ্গে জড়িত সে। জেলে বসেই সে গ্যাং চালাচ্ছে। এমন জানা গিয়েছে তদন্তে।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে লালবাজার (Lal bazar) থানার পুলিশ আধিকারীকরা। কলকাতার এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ করেছে। ঝাড়খন্ড থেকে কলকাতায় এসে তারা গুলি চালাচ্ছে। এতে যে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা জড়িত, তার আন্দাজ করছে লালবাজার পুলিশ। ঘটনায় যেহেতু ঝাড়খন্ডের (Jhanrkhand) মাফিয়া যুক্ত, তাই ইতিমধ্যে ঝাড়খণ্ডের পুলিশের যোগাযোগ করা হয়েছে। মাফিয়া আমন সাউয়ের কার্যকলাপের ব্যপারে তদন্ত চলছে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে শরৎ বোস রোডে। বালিগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর অফিসের সামনে তলে গুলি। যার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। শুরু হয়েছে তদন্ত। জেলে বসে কীভাবে সে গ্যাং চালাচ্ছে তা জানার চেষ্টা চলছে। এমনকী, তাকে হেপাজতে নিয়ে জেরা করার কথাও চলছে। এদিকে, শনিবার কে বা কারা গুলি চালিয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। খতিয়ে দেখা হচ্ছে মেসেজটি। বালিগঞ্জের ব্যবসায়ীকে কেন খুন করার হুমকি দেওয়া হল তা নিয়ে চলছে তদন্ত।