মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূলে যোগ বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যেরতারপরই পঞ্চায়েত দখলের আওয়াজ তুলল তৃণমূলএই পঞ্চায়েত আপাতত কংগ্রেসের দখলেমুকুল রায়ের প্রভাবে কি শুরু হল দল বদল, উঠছে প্রশ্ন

তনুজ জৈন - একটা কাঁপুনি ধরেছে। মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে যেতেই একেবারে উঁচুতলা থেকে নিচুতলা - ভাঙ্গনের আশঙ্কা করছে বিজেপি। আর এই থরথর আবহেই ভাঙন ধরল মালদহের বিজেপিতে। হরিশ্চন্দ্রপুর ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য অমল চন্দ্র সাহা। আর তারপরই কংগ্রেস পরিচালিত এই গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের আওয়াজ তুলল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। আর এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।

রবিবার হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে এসে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই বিজেপি সদস্য। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা জেলার সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জিয়াউর রহমান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আদিত্য মিশ্র, তৃণমূল নেতা সঞ্জীব গুপ্তা-সহ অন্যান্য দলীয় নেতৃত্ব। নতুন দলে যোগ দিয়ে অমলচন্দ্র সাহা বলেন, 'তৃণমূলে যোগদান করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। এই দল মা মাটি মানুষের দল। মানুষের জন্য কাজ করে। বিজেপি শুধু ভেদাভেদের রাজনীতি করে। ওখানে থাকতে পারছিলাম না। মমতা ব্যানার্জির আদর্শে তৃণমূল একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে কাজ করব। নিজের দায়িত্ব পালন করব।"

Scroll to load tweet…

বর্তমানে ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে কংগ্রেসের দখলে। কিন্তু বিজেপি সদস্যকে দলে টানার পরই তৃণমূল নেতৃত্ব আওয়াজ তুলেছেন ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের হাতে আসা শুধু সময়ের অপেক্ষা। জেলা সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান বলেন, 'আজ ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্য অমল চন্দ্র সাহা মমতা ব্যানার্জির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। আর অতি শীঘ্রই কংগ্রেস পরিচালিত এই পঞ্চায়েত আমরা দখল করব।'

আরও পড়ুন - চিনা রাষ্ট্রপতি এখন 'তিব্বতী ধর্মগুরু' - বৌদ্ধ ভিক্ষুদের শয়নকক্ষেও তিনিই, দেখুন ছবিতে ছবিতে

আরও পড়ুন - ফের রাম-রাজনীতি - ১৬.৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, কাঠগড়ায় অযোধ্যা মন্দির ট্রাস্ট

আরও পড়ুন - করোনার টিকা নিয়ে শরীর হয়ে গেল 'চুম্বক' - এমনটাও কি হতে পারে, দেখুন

তৃণমূল নেতার এই দাবিকে অবশ্য তীব্র কটাক্ষ করেছেন ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান বিমানবিহারী বসাক। এই পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ১৩ জন। তার মধ্যে ৯ জনই কংগ্রেসের, ৩ জন ছিলেন তৃণমূলের, আর ১ জন ছিলেন বিজেপির। রবিবারের যোগদানের পর হিসাবটা দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস ৯, তৃণমূল ৪। এই হিসাব দিয়ে বিমানবিহারী বসাক বলেছেন, কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পঞ্চায়েত দখল করার সময়ও তৃণমূল দাহবি করেছিল পঞ্চায়েত তাদের। বিধানসভা ভোটে বিপুল জয় পাওয়ার পর আবার তা বলা শুরু হয়েছে। তাঁর দাবি এসবই আসলে প্রোপাগান্ডা। বিজেপি সদস্য শাসক দলে যোগদান করলেও, ভয় বা অর্থের প্রলোভনে কংগ্রেস সদস্যদের ভাঙানো যাবে না, বলেই দাবি তাঁর। তবে ।

এই যোগদানকে আপাত দৃষ্টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপিও। পদ্ম শিবিরের নেতা রূপেশ আগরওয়ালা বলেছেন, 'সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় যদি ফের তৃণমূলে ফিরে যেতে পারেন, যিনি এর আগে কোনও দিন ভোটে জেতেননি, বিজেপির টিকিটে জিতলেন। ইনি তো সামান্য একজন পঞ্চায়েত সদস্য। যারা এ দল ও দল করে, মূলত তারা কোনও দলেরই নয়। তারা স্বার্থান্বেষী। যারা বিজেপির প্রকৃত সৈনিক, তারা ছিল, আছে এবং থাকবে'।