সংক্ষিপ্ত
মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের পেয়ারা বিক্রির ছবি-নেট জুড়ে ভাইরাল। যেখানে দেখা যাচ্ছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার এক পিয়ারা বিক্রেতাকে সহায়তা করতে আন্তরিকভাবে এগিয়ে এসে রীতিমতো হাতে দাঁড়িপাল্লা নিয়ে পেয়ারা বিক্রি করছেন।
নেট দুনিয়া জুড়ে ভাইরাল হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের পেয়ারা বিক্রেতার ভূমিকা অবতীর্ণণ হওয়ার ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার এক পিয়ারা বিক্রেতাকে সহায়তা করতে আন্তরিকভাবে এগিয়ে এসে রীতিমতো হাতে দাঁড়িপাল্লা নিয়ে পেয়ারা বিক্রি করছেন। কী করে এই কান্ড ঘটল তা খোঁজ নিয়ে জানতে গিয়ে দেখা গেল এক আজব কাণ্ড।
আরও পড়ুন, 'কম দামে সোনা চাই', লোভ দেখিয়ে ব্যবসায়ীর লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই রাজারহাটে
জানা গিয়েছে, বরাবরই তন্ময় বাবু সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে গিয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন। অতীতে তিনি যখন এই জেলার লালবাগ মহাকুমার এসডিপিও হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন সেই সময়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতেন খুব সহজেই। তার সেই গুণকে বজায় রেখেই সাদা পোশাকে বহরমপুর শহরের স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার।স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে যাওয়ার ক্ষমতার জন্য মাঝেমধ্যেই তিনি এলাকা পরিদর্শনে বের হন। সেই মতই বেরিয়েছিলেন। পথে এক পেয়ারা বিক্রেতার স্টলের সামনে স্কুটি থামিয়ে দাঁড়ান তিনি।আর সেখানেই ওই পেয়ারা বিক্রেতা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে চিনতে না পেরে অবলীলায় বলেন," দাদা আপনি কিছুক্ষণের জন্য আমার দোকানটা লক্ষ্য রাখবেন। আমি খেয়ে আসছি। কেউ পেয়ারা কিনতে এলে দাঁড়িয়ে যেতে বলবেন।’
আরও পড়ুন, সুস্থ মানুষকে ভর্তি করিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে টাকা লুঠ, কাঠগড়ায় বাংলার নার্সিংহোম
তড়িঘড়ি এমন কথা বলে খেতে চলে জান ঐ পেয়ারা বিক্রেতা দোকানদারের আবদার পালনে এক মুহূর্ত দেরি না করে এগিয়ে আসেন টি-শার্ট পরা ঐ যুবক। যিনি আদতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার। এরপর এক এক করে ক্রেতা এলেন। কিন্তু তিনি ফেরালেন না। সঠিকভাবে ওজন করে তিনি পেয়ারাও বিক্রি করলেন। বিক্রেতা ফিরে আসার পর ওই ‘যুবক’ তাঁকে সমস্ত হিসেব বুঝিয়ে দিলেন। ওই যুবকও আর সময় নষ্ট না করে স্কুটি চালিয়ে ফিরে গেলেন। টি-শার্ট পরা ওই যুবক আর কেউ নন,তিনি যে অতিরিক্ত পুলিস সুপার তন্ময় সরকার তা অনেক পরে জানতে পারলেন ওই পেয়ারা বিক্রেতা।
আরও পড়ুন, 'মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখতে চাই', বার্তা দিলেন রাজ্যসভায় মমতার প্রার্থী জহর সরকার
এই ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় বাবু বলেন, আসলে স্কুটি নিয়ে বহরমপুরে বেরিয়েছিলাম। সেখানে এক পেয়ারা বিক্রেতাকে দেখে তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করি। উনি বিভিন্ন কথা শোনাচ্ছিলেন। আমি পুলিস বলে তাঁকে পরিচয় দিইনি। কিছুক্ষণ গল্প করার পর তিনি বলেন, খিদে পেয়েছে। ১০ মিনিটের মধ্যে খেয়ে আসব। দোকানটা একটু দেখবেন। তখন আমার কোনও কাজ ছিল না। তাই তাঁর দোকান পাহারা দেওয়ার জন্য রাজি হয়ে যাই। তিনি যাওয়ার পর দু’জন পেয়ারা কিনতে আসেন। আমার মনে হয়েছিল, তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না। খেতে যাওয়ার আগে ওই পেয়ারা বিক্রেতার কাছে দাম জিজ্ঞেস করে নিয়েছিলাম। তাই ওজন করে পেয়ারা বিক্রি করতে তেমন অসুবিধা হয়নি।মানুষের পাশে এইটুকু দাঁড়ানো তো আমাদের প্রত্যেকের উচিত"। এই ঘটনার পর ওই পেয়ারা বিক্রেতা রীতিমতো হতবাক সবকিছু এদিন জানার পরে। পিয়ারা বিক্রেতা বলেন," আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি এত বড় একজন পুলিশ অফিসার সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়ে আমার পেয়ারা বিক্রি করে দেবেন"।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস