সংক্ষিপ্ত
দিলীপ ঘোষ বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দু'জন সিনিয়র মন্ত্রী গোটা বিষয়টা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন। আমরা জানি, ট্যাবলো নির্বাচিত হয় বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে। ২৯টা রাজ্য ট্যাবলো পাঠিয়েছিল। সেখান থেকে ১২ টা বেছে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ রাজ্য বা বিরোধী বলে আলাদা করা হয়েছে এমন তো নয়।"
ট্যাবলো (Tableau) নিয়ে বিতর্ক কিছুতেই থামছে না। আর সেই বিতর্কের মাঝেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (Netaji Subhas Chandra Bose) মূর্তি ইন্ডিয়া গেটে (India Gate) বসানোর কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কিন্তু, তারপরও কোনওভাবেই এনিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাত কিছুতেই থামছে না। ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির মূর্তি (Netaji Statue) বসানো নিয়েও কেন্দ্রর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে তৃণমূল (TMC)। তাঁদের কথায়, 'চাপে পড়েই সেখানে মূর্তি বসাতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)।' আবার কারও প্রশ্ন, 'মূর্তি বসানো হচ্ছে ঠিক আছে কিন্তু, নেতাজিকে নিয়ে বাংলার ট্যাবলো (Bengal Tableau) কেন বাদ দেওয়া হল?' আর এবার ট্যাবলো বিতর্কে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দু'জন সিনিয়র মন্ত্রী গোটা বিষয়টা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন। আমরা জানি, ট্যাবলো নির্বাচিত হয় বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে। ২৯টা রাজ্য ট্যাবলো পাঠিয়েছিল। সেখান থেকে ১২ টা বেছে নেওয়া হয়েছে। বিশেষ রাজ্য বা বিরোধী বলে আলাদা করা হয়েছে এমন তো নয়।"
তিনি আরও বলেন, "তৃণমূলের ট্যাবলোর চেয়ে রাজনীতি বেশি প্রিয়। তাই জলঘোলা করছে। পিআইএল (পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন) করার একটা ফ্যাশন তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নেই বাংলায়। তাই পিআইএল হয়। কেন্দ্র এ ব্যাপারে স্পষ্ট তাই ওখানে কোনও জটিলতা নেই।"
আরও পড়ুন- সকালেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বর্ষণ কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায়, তুষারপাত দার্জিলিংয়ে
এদিকে শোনা যাচ্ছে নাকি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে মেসেজ করেছেন মমতা। সূত্রের খবর, নববর্ষের বার্তার আছিলায় সোনিয়াকে জোট গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আর তা নিয়েই ফের শুরু হয়েছে জল্পনা। তা নিয়েও নাম না করে মমতাকে (Mamata Banerjee) খোঁচা দিয়েছেন দিলীপ। তিনি বলেন, "দিল্লিতে সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) তো চা খেতেও ডাকেন না তাঁকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)। অখিলেশ যাদবও (Akhilesh Yadab) ফুল দিয়েই দায় সারেন। এর আগে ২০১৯ সালের নির্বাচনের সময়ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দেশের সব বিজেপি বিরোধী নেতাদের কলকাতায় ডেকেছিলেন। ব্রিগেডে সভা করেছিলেন। তাঁদের মাছ ভাতও খাইয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও ফল পাননি।" এর ফলে কার্যত তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যে আসন্ন গোয়া বিধানসভা নির্বাচনেও কোনও সুবিধা করতে পারবে না তৃণমূল।
আরও পড়ুন- 'রাজপথে নেতাজির মূর্তি, গান্ধীবাদীদের কাঁটা ঘায়ে যেন নুনের ছিঁটা', বিস্ফোরক অনুজ ধর
পাশাপাশি অখিলেশের হয়ে মমতার প্রচার নিয়েও কটাক্ষ করেন দিলীপ। বলেন, "অখিলেশ যাদবও হীনমন্যতায় ভুগছেন। নির্বাচনে অখিলেশের জয়ের সুযোগ খুব কম। সেই জন্যই নিজের দলের হয়ে প্রচারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে এর ফলে কোনও দলেরই কোনও লাভ হবে না। উত্তরপ্রদেশের মানুষ তো মমতার হিন্দিই বুঝবেন না।"