সংক্ষিপ্ত

  • এবার করোনার থাবা এসে পড়লো সীমান্ত জেলা মুর্শিদাবাদে
  • রঘুনাথগঞ্জের মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী সহ ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের সংক্রমণ
  • লালারসের নমুনা পরীক্ষার পরই তাদের দেহে করোনা পজিটিভ
  •   ওই  চারজনকেই বহরমপুর করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে

এবার করোনার থাবা এসে পড়লো সীমান্ত জেলা মুর্শিদাবাদে। রঘুনাথগঞ্জ  এর ১ নম্বর মহিলা স্বাস্থ্য কর্মী সহ সুতি ২নং ব্লকের দিল্লি ফেরত ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের লালারসের নমুনা পরীক্ষার পরই তাদের দেহে করোনা পজিটিভের নমুনা মেলার পরই তড়িঘড়ি ওই  চারজনকেই বহরমপুর করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

দেহ দাহ করে ৩০ জন শ্মশানযাত্রী জানলেন মৃতের করোনা পজিটিভ..

পাশাপাশি এলাকায় ইতিমধ্যে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগে আসা বাকিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত যেমন নেওয়া হোয়েছে,তেমনি সীমান্তের বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে সিল করা শুরু হয়ে গিয়েছে  মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের পক্ষ ও স্থানীয় মানুষ জনের তরফে।

৯ বছর কেটে গেল পরিবর্তনের, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী...

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন,ওই চারজনের লালারসের রিপোর্ট  পজেটিভ আসার পরই ওই এলাকাগুলিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া শুরু  হয়েছে"।স্থানীয়  সূত্রে জানা গিয়েছে, সূতি-২ ব্লকের ওই ৩জন কয়েকদিন আগেই দিল্লি থেকে ফিরেছেন। তাঁরা সেখানে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। ঘরে ফেরার পরই তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রঘুনাথগঞ্জ শহরের বাসিন্দা ওই মহিলা কীভাবে করোনায় আক্রান্ত হলেন তা আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। তবে ওই মহিলা এলাকায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।

সামাজিক দূরত্ব মেনে চলবে মেট্রো, কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল..

এদিনই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা ওই এলাকাগুলিতে পৌঁছে যান। প্রতিটি এলাকাই সিল করা হয়েছে। ওই চারজনের সংস্পর্শে আর কারা এসেছিলেন তাঁদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদেরও লালারস পরীক্ষা করা হবে। সূতি-২ ব্লকের ওই তিনজন কীভাবে দিল্লি থেকে ফিরলেন বা কাদের সঙ্গে ফিরেছিলেন তা জানতেও খোঁজখবর শুরু করেছেন আধিকারিকরা। 

প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা জানতে পেরেছেন, ওই চারজনের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন সূতিতে ফিরেছিলেন। তাঁদেরও লালারস পরীক্ষা করা হবে। প্রসঙ্গত,এর আগে সালারের এক বৃদ্ধ কলকাতায় চিকিৎসা চলাকালীন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।