সংক্ষিপ্ত

মোটরবাইক চালিয়ে পৃথিবীর অন্যতম উচ্চতার গুরুদনগমার লেকে পৌঁছানো লক্ষ্য ছিল তিতাসের। এর সঙ্গে সিকিমের আরো বিভিন্ন জায়গা মিলিয়ে যাত্রা ছিল ২০০০ কিলোমিটার।

বহু প্রতীক্ষিত স্বপ্ন (Dream) সফল। মাত্র ১৯ বছর বয়সে (19 years old) মোটরবাইক (Bike) চালিয়ে বিশ্বের অন্যতম উচ্চ গুরুদিনগমার লেক অভিযানে সফল (highest successful lake expeditions) হল বাংলার তিন যুবক (Bengali youth Team)। স্বপ্ন পূরণ উত্তর আসানসোলের কেএসটিপির বাসিন্দা ১৯বছর বয়সী তিতাস চট্টোপাধ্যায় ও গৌতম দাসের। সঙ্গে ছিলেন ২৩ বছরের পার্থ দাস। সিকিম এক্সপিডিসনে বেরিয়েছিল এই তিন যুবক। গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ নভেম্বরের ১১ তারিখ বিকেলে যাত্রা শুরু হয়। 

মোটরবাইক চালিয়ে পৃথিবীর অন্যতম উচ্চতার গুরুদনগমার লেকে পৌঁছানো লক্ষ্য ছিল তিতাসের। এর সঙ্গে সিকিমের আরো বিভিন্ন জায়গা মিলিয়ে যাত্রা ছিল ২০০০ কিলোমিটার। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৮তারিখ সকাল সাড়ে নটায় গুরুদনগমার পৌঁছায় তারা। স্বপ্ন সফল করে আসানসোলে ফিরছে শুক্রবার।১৯ বছর বয়সে মোটর বাইক চালিয়ে ১৭৮০০ ফুট উচ্চতায় এই প্রথম কেউ উঠেছেন বলেন বলে জানা যায়।

তিতাস জানায়, চলতি পথে কখনো ভালো আবার কখনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কোথাও ধসের কারণে তিন থেকে চার ঘন্টা আটকে থাকতে হয়েছে আবার কোথাও গাড়ির তেল শেষ হয়ে যাবার কারণে বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে ওখানকার মানুষ খুব ভালো। যথেষ্ট সহযোগিতা পাওয়া গেছে সবার থেকে। সুদূর আসানসোল থেকে শিলিগুড়ি হয়ে সিটঙ, কার্শিয়াং, বাতাসিয়া, রাভাঙলা, নামচি, ডিকচু, মঙ্গন, লাচেন হয়ে গুরুদনগমার। এ যেন অজানা পৃথিবীতে বাইকে ভ্রমণ। 

Narendra Modi-ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে নয়া দিশা দেখিয়েছে কেন্দ্র, দাবি মোদীর

Climate Summit-জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতায় ২১টি দেশ, কোন প্রশ্নে এককাট্টা ভারত-চিন

তিনি বলেন কোথাও তাপমাত্রা এক ডিগ্রি তো কোথাও মাইনাস এক। তবে সেফ ড্রাইভ উইথ সেফটি গিয়ার্সকে সাথী করে মোটরবাইক নিয়ে ১৭৮০০ ফুট ওপরে বিশ্বের অন্যতম উচ্চ লেকে পৌঁছাতে তে খুশি তারা। তবে অভিজ্ঞতা কম ছিল। ছিল না অক্সিজেন সিলিন্ডার বা অতিরিক্ত তেলের ব্যবস্থা। সে ক্ষেত্রে পরের বারের যাত্রায় অসুবিধা অনেকটাই কম হবে বলে আশাবাদী বাংলার এই যুবকরা।

তিতাসের আরেক সহযাত্রী গৌতম দাস জানান তারা সবাই পড়ুয়া। তিতাস বিবিএ এর ছাত্র। তিনি নিজে স্নাতক। ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র পার্থ। স্কুল কলেজ খুলে গেছে। এবার পাহাড়কে টা টা জানাতে হবে। পরে আর বড় এক্সপিডিসনে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে পাহাড়ের সৌন্দর্য , বরফ স্নাত রাস্তা-লেক যেন ছেড়ে আসার নয়। আবারও আরো অনেক দূর যাবার স্বপ্ন রয়েছে তাঁদের।