সংক্ষিপ্ত
- বছরভর ঘরের এককোনে পড়ে থাকে
- বিনোদনের জন্য় মনে পড়ে না রেডিওর কথা
- তবে মহালয়ার আগের দিন তার প্রয়োজন পড়ে বাঙালির
- আধুনিক প্রযুক্তি থাকলেও রেডিওতেই বসে মন
পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের সূচনা। মহালয়ার আগে ফের মনে পড়ে যাচ্ছে রেডিওর কথা। বাড়ির এককোনে ধুলো মাখা অবস্থায় পড়ে থাকা রেডিও এখন দোকানে। কেননা, রাত পোহালেই মহালয়া। তাই আকাশবানী ভবন থেকে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ শুনতে আজও আগ্রহী বাঙালি। সেকারনে মহালয়ার আগে আবার জনপ্রিয়তা শিখরে ওঠে রেডিওর।
আরও পড়ুন-ভোটের আগে ৮৫ বছর পর বিহারের স্বপ্নপূরণ, দেশবাসীকে কোশি রেল মহাসেতু উপহার প্রধানমন্ত্রীর
মহালয়ার আগের দিন মুর্শিদাবাদের রেডিও সারানোর দোকানগুলিতে ভিড়। মহালয়ার চণ্ডীপাঠ শুনতে ভিড় জমিয়েছেন অনেকেই। কদর এতটাই যে রেডিও মেকানিককে বাড়তি টাকা দিয়ে বাড়িতে ডেকে রেডিও সারাচ্ছেন কেউ কেউ। মুর্শিদাবাদ জেবার সর্বত্র নবাব নগরী লালবাদের আস্তাবন মোড় থেকে শুরু করে বহরমপুর শহরের জনবহুল এলাকা। কাদাই মোড়, খাগড়া, গোড়াবাজার, নিমতলা, স্বর্ণময়। সব জায়গাতেই রেডিও দোকানে ভিড় জমিয়েছেন প্রবীণ থেকে মধ্য়বয়সীরাও। রাত পোহালেই মহালয়া যে।
আরও পড়ুন-হস্টেল থেকে ডাক্তারি ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, কলকাতায় ছাত্রের মৃত্যুতে ঘণীভূত রহস্য
চন্দন রায় নামে এক বৃদ্ধ বলেন, ''মহালয়ার চণ্ডীপাঠ শোনার জন্য আগে থেকেই ব্যাটারি লাগিয়ে রেডিও চালু করেছিলাম। শুনলাম, শোঁ শোঁ আওয়াজ করছে। তাই সময় থাকতে রেডিওটাকে ঠিক করাতে এলাম''।
আরও পড়ুন-অপেক্ষা শেষ, আইনজীবী রজত দে হত্যা মামলায় স্ত্রী অনিন্দিতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মহালয়ায় মার্তৃপক্ষের সূচনাতেই বীরেন্দ্র কিশোর ভদ্রের চণ্ডীপাঠ শুনলেই জানান দেয় পুজো এসে গেছে। করোনা মহামারির জেরে এবছর পুজোর এতটা শোরগোল না থাকলেও মহালয়ার চণ্ডীপাঠ শুনতে কারোর কোনও সমস্যা নেই। আধুনিক যুগে বিনোদনের জন্য প্রযুক্তি যতই ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলুক না কেনো, রেডিও আজও তার জনপ্রিয়তা হারায়নি। দোকানে সারাই করতে আসা কোনও রেডিওর বয়স আবার আশিও পেরিয়েছে।