সংক্ষিপ্ত
মহাজনের ঋণ শোধ করবেন কী করে ভেবে পাচ্ছেন না পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা। অন্যদিকে, হুগলির ছবিটাও পৃথক নয়। সেখানেও ছবিটা একই। হাজার হাজার বিঘা জমির আলু আজ জলের তলায়।
গত দুবছর ধরে করোনা মহামারির(Corona Pandemic) জেরে দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল চাষাবাদ। অবশেষে ধীরে ধীরে স্থিতাবস্থা ফিরতে শুরু করলেও বর্তমানে দফায় দফায় অকাল বর্ষণের জেরে মাথায় হাত বাংলার চাষিদের(Bengal Farmers)। দুর্যোগের পর দুর্যোগ। প্রথমে বৃষ্টিতে(Rain) বরবাদ হয়েছে ধান। এখন জমিতেই পচে যাচ্ছে আলুর চারা। ফলন না হলে মহাজনের ঋণ শোধ করবেন কী করে ভেবে পাচ্ছেন না পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষকরা(Potato farmers in Burdwan)। অন্যদিকে, হুগলীর(Hooghly) ছবিটাও পৃথক নয়। সেখানেও ছবিটা একই। হাজার হাজার বিঘা জমির আলু আজ জলের তলায়। জাওয়াদ ঝড়ের সতর্কতা তা আগেই ছিল, তার মাঝে নিম্নচাপের ফলে বৃষ্টির জেরে মাথায় বাজ পড়েছে ধানচাষিদের। এবছর ধান চাষের শুরু থেকেই নিম্নচাপের জেরে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন চাষিরা। আলু চাষের(Potato farming) সময়ও দুর্যোগ চলছে।
স্থানীয় এক কৃষকের(Farmers) কথায়, “চাষ কী করব! আগেই তো সব গাছ মরে গিয়েছে। মহাজনের কাছে এত এত ধার! জানি না কীভাবে শোধ দেব। না খেতে পেয়ে মরতে হবে।” অন্য আরেক কৃষক বলেছেন, “চাষ কী করব! বীজের দাম, সারের দাম এত বেশি যে আগুন ছুটছে যেন! তারমধ্যে বৃষ্টি। কোথায় যাব আমরা। ফলন না হলে ধার শোধ হবে না।” যেসব জমিতে আলু লাগানো হয়েছিল সেই সব জমিও উপর দিয়ে জলের স্রোত বইছে। আলুর ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলন কম হলে চাহিদা অনুযায়ী জোগান মিলবে না। এদিকে বেশিরভাগ কৃষক মহাজনের থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেন। ফলন না হলে ঋণ শোধের টাকাও উঠবে না। এই অবস্থায় কী করবেন ভেবে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
আরও পড়ুন- আগে রাজ্যের অর্থনীতি ঠিক করুন, তথাগত-রাহুলদের নিশানায় নোবেলজয়ী অভিজিৎ
এদিকে, মহাজনের থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন বেশিরভাগ কৃষক। ফলন ভালো না হলে ঋণ মেটাবেন কী করে? চিন্তায় ঘুম উড়েছে কৃষকদের। তার উপরে রয়েছে কালোবাজারি। সব মিলিয়ে শিরে সংক্রান্তি চাষিদের। আচমকাই দাম বেড়ে গিয়েছে সারেরও। কৃষকদের অভিযোগ, তাঁদের চাহিদার সুযোগ নিয়ে সারের দাম হঠাত্ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতি বস্তা সারের দাম ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি যেদিকে তাতে আলু চাষ থেকে সরে যাওয়ার আশঙ্কা অর্ধেক চাষির। এখন সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে এই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। যদিও জাওয়াদ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এখনও সরকারের তরফে বিশেষ কোনও ঘোষণা করা হয়নি। ক্ষতিপূরণের দাবি উঠলেও সরকার এখনও এই বিষয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য করেনি।