সংক্ষিপ্ত
- কুম্ভমেলার পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দু মেলা হল গঙ্গাসাগর
- হিন্দুদের কাছে এটি অত্যন্ত পবিত্র তীর্থস্থান
- প্রতি বছর মক্রর সংক্রান্তিতে সাগর দ্বীপের কপিল মুনির আশ্রমে অনুষ্ঠিত হয় এই ধর্মীয় উৎসব
- শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সাগরদ্বীপ
কুম্ভমেলার পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম হিন্দু মেলা হল গঙ্গাসাগর। প্রতি বছর মক্রর সংক্রান্তিতে সাগর দ্বীপের কপিল মুনির আশ্রমে অনুষ্ঠিত হয় এই ধর্মীয় উৎসব। শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই সাগরদ্বীপ। প্রতিবছর মকর সংক্রান্তির দিন এখানে ভীড় জমান কয়েক লক্ষ্য পূণ্যার্থী। এই বছর ১০ জানুয়ারি শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে সূচণা হবে এই মেলার চলবে ১৭ জানুয়ারি অবধি।
আরও পড়ুন- হিন্দুদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব গঙ্গা-সাগর মেলা, রইল দিন-ক্ষণ থেকে পূণ্যস্নানের সময়সূচী
হিমালয় থেকে আসা সাধুসন্তরা মেলার বিশেষ আকর্ষণ। তীব্র শীত উপেক্ষা করে কেবল ছাইভস্ম গায়ে মেখে অনাবৃত অবস্থায় তারা তাদের ধর্মীয় নিয়ম পালন করেন। সরকারের পাশাপাশি অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মেলায় প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে আরম্ভ করে সেবামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকেন। বর্ণ বৈষম্যের বিভেদ দূরে ঠেলে ঐক্যের সূচনা ঘটে এই মেলায়।
আরও পড়ুন- যুবকের বুদ্ধিতে এড়ানো গেল বড় দুর্ঘটনা, স্টেশন ভাঙার পর এবার লাইনে ফাটল বর্ধমানে
সাগরতটে মেলার প্রাঙ্গন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে মোতায়েন করা হয়েছে ২ হাজারেরও বেশি কর্মী। পূণ্যর্থীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করেছে জেলা প্রশাসন। মেলা জুড়ে আবর্জনা ও ময়লা পরিস্কারের জন্য এই প্রথম ব্যবহার করা হবে ২৮টি ই-রিক্সা। ভ্যাট পরিস্কারের জন্য থাকবে ভিন্ন ভিন্ন ই-কার্ট। আর এই ই-কার্টে নিয়োগ থাকবে একজন চালক ও ২জন সাফাইকর্মী মোট ৩জন। এই বছরে পরিবেশ সচেতনার কথা মাথায় রেখে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্লাস্টিক। এর বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে কাগজের ব্যাগ ও ঠোঙ্গা। করা হয়েছে উপযুক্ত তরল ও বর্জ নিকাশি ব্যবস্থাও। পূণ্যার্থীদের সুবিদার্থে রাখা হয়েছে বায়ো টয়লেটের সুবিধা।