সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনে ব্যস্ততা আরও বেড়েছে
- খবরে সংগ্রহে দিনভর ছুটছেন সাংবাদিকরা
- ফুরসত নেই বাজার করারও
- সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াল প্রেসক্লাব
চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী নন, দায়িত্ব নেই আইনরক্ষারও। কিন্তু তাতে কি! লকডাউনে ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই সাংবাদিকদেরও। হাসপাতাল থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, খবর সংগ্রহের জন্য সর্বত্র ছুটে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। ব্যস্ততা এতটাই যে, বাজার করারও সময় পাচ্ছেন না অনেকেই। জেলার সাংবাদিকদের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিল উত্তর দিনাজপুর প্রেস ক্লাব।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে কাজে যোগ দিতে বাধা, বাড়ি গিয়ে নার্সকে সংবর্ধনা পুরপ্রধানের
ঘরবন্দি জীবনে এখন অখণ্ড অবসর। করোনা আতঙ্কে খবরের প্রতি ঝোঁক বেড়েছে সাধারণ মানুষের। রাজ্যে নতুন করে কি কেউ করোনা আক্রান্ত হলেন? লকডাউনইবা বা কবে উঠবে? এসব জানতে টিভির পর্দায় কিংবা খবরের কাগজে নজর রাখছেন সকলেই। ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে সাংবাদিকদের, সময় নেই নাওয়া-খাওয়ারও। কিন্তু তাই বলে লকডাউনের ঝক্কি পোহাতে হচ্ছে না! বরং বলা ভালো, সাধারণ মানুষের থেকে তাঁদের সমস্যাই বেশি। দিনভর খবরের জন্য় ছোটাছুটির পর বাজার করার তো সময় পাচ্ছেন না অনেকেই। আর্থিক সমস্যায়ও পড়েছেন কেউ কেউ। বিপদের সময়ে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়াল উত্তর দিনাজপুর প্রেস ক্লাব। বিলি করা হল চাল, ডাল, সোয়াবিনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী, এমনকী মাস্ক ও স্যানিটাইজারও।
আরও পড়ুন: মসজিদ থেকে ত্রাণ গেল মন্দিরে, লকডাউনে সম্প্রীতির নজির এ রাজ্যে
উত্তর দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অলিপ মিত্র বলেন, 'এই ক্লাবের যাঁরা সদস্য, তাঁরা সকলে পরিবারের মতো। সংকটে সময়ে ক্লাবের সদস্য় ও তাঁদের পরিবারের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাহায্যের পরিমাণ হয়তো খুব বেশি নয়, তবে বিপদের দিনে পাশের থাকার বার্তা দিতে চেয়েছি।' আগামী দিনে কালিয়াগঞ্জ ও ইসলামপুরে সাংবাদিকদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হবে।