সংক্ষিপ্ত

১৩ বছরের কিশোরীর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে। তার বাবার বিরুদ্ধেই পুলিশে অভিযোগ করলেন  তার ঠাকুর্দা।
 

কয়েকদিন বাদেই আসছে রাখি উৎসব। অথচ, এবারের রাখি আর দেখা হল না ছোট্ট রাখি শর্মার। মদ্যপ বাবার মারের আতঙ্কে আত্মঘাতী হল ১৩ বছরের কিশোরীটি। শোওয়ার ঘরে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হল তার দেহ। আর, ই ঘটনার পর নাতনির মৃত্যুর জন্য নিজের ছেলেকেই দায়ী করে, তার শাস্তির দাবিতে সরব হলেন মৃতা কিশোরীর ঠাকুরদা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে, রায়গঞ্জের রূপাহার েলাকার পশ্চিম মহাদেবপুর গ্রামে।

রায়গঞ্জ ব্লকের মাড়াইকুড়া ইন্দ্রমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল রাখি শর্মা। রাখির মৃত্যুর জন্য তার দাদু ধীরেন শর্মা, তার নিজের ছেলে অর্থাৎ রাখির বাবা অচিন্ত্য শর্মাকেই দায়ী করেছেন। তিনি জানিয়েছেন প্রায়দিনই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে টাকা দাবি করে বাড়িতে তুলকালাম বাধায় অচিন্ত্য। মেয়ে, স্ত্রী, েমনকী বৃদ্ধ বাবা-মায়ের গায়েও হাত তোলে সে। 

"

মঙ্গলবার বিকেলেও বাড়িতে এসেই রাখিকে লাঠি, জুতো দিয়ে বেধড়ক প্রহার করে তার বাবা। তারপর থেকেই তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোজাখুজির পর তার নিজের শোওয়ার ঘরেই সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তার পরিবার। কোনওরকমে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, আগেই মৃত্যু হয়েছে ১৩ বছরের কিশোরীটির। 

েদিকে ই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশকে সামনে দেখে অচিন্ত্যর বিরুদ্ধে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার ঠাকুর্দা তথা অচিন্ত্যর বাবা ধীরেন শর্মা। তিনি জানিয়েছেন নাতনির মৃত্যুর জন্য তার ছেলেই দায়ী। ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। সাফ জানিয়েছেন, ছেলের এই অত্যাচার আর সহ্য করতে পারছেন না তিনি। 

আরও পড়ুন - স্তনে আঘাত করলেও যৌন নির্যাতন নয়, 'ত্বক না লাগলেই হল' - চমকে দিল আদালতের রায়

আরও দেখুিন - রায়গঞ্জে উদ্ধার বিরল প্রজাতির লাল মাথা টিয়া

আরও পড়ুন - ৪ বছরের সন্তানকে বুলেটে মাথা এফোঁড় ওফোঁড় করে দিল বাবা, রায়গঞ্জে গভীর রাতে নৃশংস হত্যায় চাঞ্চল্য

পুলিশকে ধীরেন আরও জানিয়েছেন, কিছুদিন যাবৎ রাখির উপর অচিন্ত্যর অত্যাচার চরমে উঠেছিল। বাবার মারধরে সবসময় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে থাকত ছোট্ট রাখি। মঙ্গলবারের মারের ধাক্কাটা আর সে নিতে পারেনি। 

পুলিশের পক্ষ থেকে তার অভিযোগ গ্রহণ করে রাখির মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। 


 

YouTube video player