সংক্ষিপ্ত
ট্রাক্টরে খড় বোঝাই করে যাওয়ার সময় স্কুলের কংক্রিটের তোরণে ধাক্কা। ভাঙা তোরণের নিচে চাপা পড়ে মৃত ২। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দাঁতন থানার খন্ডরুইতে।
আধুনিক সমাজব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথেই গণ পরিবহনের উপর মানুষের নির্ভরতা আগের থেকে বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুন। আর তার জেরেই রোজই একাধিক পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকছে বাংলার মানুষ। পথে বেরিয়ে দুর্ঘটনার(Road accident) শিকার হচ্ছে আম-আদমি। এমতাবস্থায় এবার ট্রাক্টরে করে খড় বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রাচীরে ধাক্কা মেরে স্কুলের তোরণ গেট ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু হলো দুজনের। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন(Dantan in West Midnapore) থানার খন্ডরুই এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি থেকে খড় বোঝাই করে ট্রাক্টরের করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে খন্ডরুই নিম্ন বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়(Khandrui Lower Basic Primary School) স্কুলের কাছে ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। স্কুলের গেটের ভেতর দিয়ে যখন ট্রাক্টরটি যাচ্ছিল তখনই খড় বোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে স্কুলের তোরণটি। তখনই কংক্রিটের তোরণের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ট্রাক্টর এর চালক ও খালাসির। আহত হয় একটি ছোট্ট শিশু। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
দুর্ঘটনার খবর পেতেই স্থানীয় বাসিন্দারা পে-লোডার দিয়ে কংক্রিটের ভাঙা প্রাচীর সরিয়ে উদ্ধার কাজে হাত লাগায়। ট্রাক্টরের চালকও ও খালাসি মনোরঞ্জন দাস ও দেবাশীষ দাসকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় খন্ডরুই গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত শিশুটিকে খন্ডরুই হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দাঁতন থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ট্রাক্টরটিকে। ওভারলোডিংয়ের কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক্টরটি উল্টে গিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।
আরও পড়ুন- বড়দিনের বাজারে বেরিয়ে বেপরোয়া ডাম্পারের বলি শিশু
এদিকে এদিনই আবার বাবার সঙ্গে বড়দিনের বাজার করতে বেরিয়ে পথ দুর্ঘটনার বলি হল মুর্শিদাবাদের এক শিশু। শুক্রবার বিকেলে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) বাখরপুর এলাকায়। জঙ্গিপুর-বহরমপুরগামী রাজ্য সড়কেই ঘটে দুর্ঘটনাটি। নিহত শিশুর নাম ইজাজ আহমেদ (২)। এরপরেই ঘাতক ডাম্পারের চালককে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয় উত্তেজিত জনতা। দুর্ঘটনাস্থল বাসের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে ঘটনার বিষয় জানতে পেরে থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসে সেখানে। এদিকে এই এলাকায় উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে ডাম্পার, লরি থেকে মালবোঝাই গাড়ির দৌরাত্ম্য। প্রায়শই ঘটে দুর্ঘটনা। যা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই ক্ষোভের বাতাবরণ ছিল স্থানীয়দের মধ্যে।