সংক্ষিপ্ত
- আরএসএস-এর সভায় পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি তৈরির সিদ্ধান্ত
- তবে তার আগে আনা হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল
- এনআরসি-র ফলে কোনও হিন্দুকে ভারত-ঠাড়া হতে হবে না
- সদ্যই কলকাতায় আরএসএস প্রধান আসায় শীঘ্রই সিএবি আসার জল্পনা শুরু
অসমের নাগরিকপঞ্জীর চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর, তা নিয়ে বিতর্ক এখনও অব্যাহত। অনেক বৈধ নৈগরিকেরই তালিকায় জায়গা হয়নি বলে অভিয়োগ। এরমধ্যেই বাংলায় সিএবি অর্থাৎ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল প্রয়োগের সলতে পাকানো শুরু হল। তবে এনআরসি-র জুজু হিন্দুদের জন্য নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
চলতি মাসের শুরুতেই রাজস্থানে, আরএসএস-এর তিনদিনের বার্ষিক সমন্বয় সভা হয়েছে। সভায় বিজেপির প্রতিনিধিরা সহ আরএসএস-এর সহযোগী বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিরাও। সেখানেই পশ্চিমবঙ্গে প্রথমে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ও তারপর নাগরিকপঞ্জীর তালিকা তৈরি করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর লোকসভা ভোটের পর প্রথমবার কলকাতায় এসেছিলেন আরএসএস প্রধান। তাতে মনে করা হচ্ছে সিদ্ধান্তকে রূপায়িত করতে সলতে পাকানো শুরু হয়ে গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই বাংলায় নাগরিকপঞ্জী তৈরির ফলে দেশ হারানোর ভয়ে বেশ কয়েকজন আত্মহত্যা করেছেন। অসমে গত ৩১ অগাস্ট নাগরিকপঞ্জীর চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ১৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাদ পড়েছেন। যার মধ্যে অনেকেই বৈধ নাগরিক এবং তাদের অনেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের বলে বৈঠকে অংশ নেওয়া অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তবে, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মোহন ভাগবত নাগরিকপঞ্জী থেকে বাদ পড়ার জন্য কোনও হিন্দু ধর্মের মানুষকে দেশ ছাড়তে হবে না বলে পরিষ্কার করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এক আরএসএস কার্যকর্তা। জানা গিয়েছে আরএসএস প্রধান বলেছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে নির্যাতন ও নিপীড়িত হয়ে আসা হিন্দুরা ভারতেই থাকবেন।