সংক্ষিপ্ত
'মেয়েদের সঙ্গে চরম নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছে ইউক্রেন সেনা', অভিযোগ বালুরঘাটের এক বাসিন্দার। ইউক্রেনে আটকে বাংলার আরও এক সন্তান। ডাক্তারি পড়তে গিয়ে ইউক্রেনে আটকে রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের নারায়ণপুর এলাকার এক ছাত্রী৷
'মেয়েদের সঙ্গে চরম নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছে ইউক্রেন সেনা ( Ukrainian army )', অভিযোগ বালুরঘাটের এক বাসিন্দার (Balurghat)। ইউক্রেনে (Russia Ukraine War) আটকে বাংলার আরও এক সন্তান। ডাক্তারি পড়তে গিয়ে ইউক্রেনে আটকে রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের নারায়ণপুর এলাকার এক ছাত্রী৷ জীবন বাঁচাতে দুই রাত ও তিন দিন হেঁটেই কিয়েভ শহর থেকে হাঙ্গেরিতে পৌঁছয় বালুরঘাট নারায়ণপুরের ডাক্তারি পড়ুয়া জয়তী রায়। কবে বাড়ি ফিরবে মেয়ে এমন উৎকন্ঠার মধ্যে দিয়ে পথ চেয়ে বসে আছে গোটা পরিবার।
পরিবারের লোকেদের স্বপ্নপূরন করতে ইউক্রেনে ডাক্তারী পড়তে যান বালুরঘাটের নারায়নপুর এলাকার বাসিন্দা দীপঙ্কর রায়ের বড় মেয়ে জয়তী রায়। যদিও জয়তীর মেডিকেলের ছিল এটাই প্রথম বর্ষ। সেদেশের কিব শহরের একটি মেডিকেল কলেজে পাঠরত ছিল তারা। ১২ ফেব্রুয়ারী বালুরঘাট থেকে সেখানে পৌছায় জয়তী। এরই মধ্যে যুদ্ধের দামামা শুরু হয়ে যাওয়ায় বেশ কয়েকদিন মেডিক্যাল কলেজ বিল্ডিংয়ের বেসমেন্টে আটকে থাকে তারা। বর্তমানে জয়তী হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে রয়েছে। ইউক্রেনের কিয়েভ শহর থেকে হাঁটাপথে সীমান্ত পেরিয়ে হাঙ্গেরিতে পৌঁছায় তারা।
আরও পড়ুন, ২৪ ঘন্টা পার, ইউক্রেন থেকে আসেনি ছেলের ফোন, উৎকণ্ঠায় মালদহে থাকা বাবা-মা
তাঁর পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, 'প্রথমে তাঁরা ইউক্রেনের লিভইড স্টেশনে পৌঁছালে তাঁদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয় ইউক্রেন সেনা। পথে ইউক্রেনের স্থানীয়রাও তাঁদের কোনওরূপ সাহায্য করেনি', বলেও অভিযোগ করেছেন জয়তীর মা মনোরমা রায়। আর যার জেরে দুই রাত তিন দিন পায়ে হেঁটে হাঙ্গেরি সীমান্তে পৌঁছালে সেখানে ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধিরা ও হাঙ্গেরি সেনা তাঁদের রিসিভ করে।
আরও পড়ুন, 'যুদ্ধটা বন্ধ হলে ভালই হয়, পুতিন ও জেলেনস্কিকে বুঝিয়ে বলতে পারেন মমতা,' খোশমেজাজে দিলীপ
এই মুহূর্তে তাঁরা বুদাপেস্ট শহরের ভারতীয় একটি গেস্ট হাউজে ভারতীয় দূতাবাসের আশ্রয়ে রয়েছে। হাঙ্গেরির সিম ক্রয় করতে না পারায় ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে বংশীহারিতে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। বালুরঘাটের নারায়নপুরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন জয়তীও। এখন কবে মেয়ে ঘরে ফিরবে সেই আশায় দিন গুনছেন পরিবারের লোকেরা। যদিও সুত্রের খবর, আজই তাঁদের নিয়ে ভারতীয় বিমান আকাশে উড়বে ।জয়তীর মা মনোরমা রায় বলেন, 'তাদের মেয়েদের সঙ্গে চরম নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছে ইউক্রেন সেনা। কথা হয়েছে মেয়েদের সঙ্গে। বিমানে করে কখন ভারতে পৌঁছাবে মেয়ে আর কখনইবা তাদের দেখতে পাবেন, তারই প্রহর গুনছেন।'
আরও পড়ুন, মেয়ের হাতে মিষ্টি খেতে পারবেন ভাবেননি, ইউক্রেন ফেরৎ অন্বেষাকে পেয়ে এখনও বুক কাঁপছে বাবার
তবে শুধু দক্ষিণ দিনাজপুরই নয় উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হৃদয়পুর, গোবরডাঙা, বসিরহাট থেকে শুরু করে মালদহ জেলা-সহ রাজ্যে ছাড়িয়ে সারা দেশের ছেলে-মেয়েরাই ইউক্রনে পড়তে গিয়েছেন। অনেকেই ফিরেছেন আবার অনেকেই ফিরতে পারেননি। যারা ফিরেছেন, তাঁদেরকে মিষ্টিমুখ করানো পর্ব চলছে। যারা ফেরেনি, তাঁদের পরিবারের ঘুম উড়েছে। চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে প্রত্য়েকেরই মা-বাবার।