সংক্ষিপ্ত
- বিকৃত যৌন লালসার হাত থেকে রেহাই নেই
- টিউশনি থেকে ফেরার পথে 'ধর্ষিতা' স্কুলছাত্রী
- কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করল সে
- বীরভূমের মুরারই-এর ঘটনা
আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: যে স্কুলের পড়ত, সেই স্কুলের পিওনই শেষেকিনা রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করল! বাড়ি ফেরার পর কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মুরারই-এ।
আরও পড়ুন: তারস্বরে মাইক বাজানোর প্রতিবাদ, করোনা যোদ্ধাকে বাড়িছাড়া করার অভিযোগ
অভিযুক্তের নাম উৎপল মণ্ডল। বাড়ি, মুরারই-এর বনমহুরাপুর গ্রামের মুর্শিদপাড়ায়। স্থানীয় মহুরাপুর হাইস্কুলের হাইস্কুলের পিওনের চাকরি করে সে। নির্যাতিতা কিশোর ওই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। পরিবারের লোকেদের দাবি, শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামেই গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল সে। ফেরার পথে তাকে জোর করে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় উৎপল এবং ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বাড়ির ফেরার পর কাউকে কিছু না বলে নিজে ঘরে চলে যায় নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রী। চিৎকার শুনে যখন মেয়ের ঘরে যান, তখন পরিবারের লোকেরা দেখেন, ওই কিশোরীর মুখ গ্যাঁজলা বেরোচ্ছে! তখন বাড়ির লোককে গোটা ঘটনাটি সে খুলে বলে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রামের মহিলাকে 'ডাইনি' ঘোষণা, পাড়াছাড়া করার নিদানে ধুন্ধুমারকাণ্ড আউশগ্রামে
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই কিশোরীকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রবিবার ভোরের দিকে মারা যায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীটি। ঘটনাটি জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। অভিযুক্ত উৎপল মণ্ডলের বাড়িতে চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, এর আগেও দু'বার ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক। সেবার গ্রামবাসীদের মধ্য়স্থতায় বিষয়টি মিটে যায়।