সংক্ষিপ্ত

মারণ 'স্ক্রাব টাইফাস' রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বেশ কয়েকটি শিশু আক্রান্ত হতেই রীতিমতো কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের।

প্রাপ্ত বয়স্কদের (Adults) পাশাপাশি এবার মারণ 'স্ক্রাব টাইফাস' (Scrub Typhus) রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা (Children)। বেশ কয়েকটি শিশু আক্রান্ত হতেই রীতিমতো কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের (Murshidabad District Health Dept)। জেলার প্রত্যন্ত খাজুরিয়া এলাকার রাস্তার পাশের ধাবায় কর্মরত দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে নেমে এসেছে এই বিপত্তি। পরিবারের শিশু কন্যা চার বছর আট মাসের সারবানু ইয়াসমিনের জ্বর ও শরীর ফুলে যাচ্ছিল। পরে তাকে লালবাগের চিকিৎসক সুব্রত হালদারের কাছে নিয়ে যান তার পরিবারের লোক জন । ওই চিকিৎসকের পরামর্শে সারবানুর কিছু মেডিক্যাল টেস্ট করান হয়। 

তাতেই জানা যায় শিশুটি স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত। স্বাভাবিকভাবেই এই খবর চাউর হতেই এলাকা জুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। যা রীতিমতো ভাবাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের বলেই বিশেষ সূত্রের খবর। এদিকে ওই শিশুকে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, রোগীর অবস্থার সামান্য উন্নতি হলে তার অভিভাবক তাকে বাড়ি নিয়ে চলে যান। সেক্ষেত্রে তাকে ১৪ দিনের ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। 

বুধবার রোগীর মা নাজিয়া বেগম বলেন, “বাড়িতে কিছু অসুবিধা থাকায় মেয়েকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে চলে যান তারা। সেই মত হাসপাতাল থেকে ছুটি দিলে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি চলে যান ওই পরিবার। সারবানু ছাড়াও তিন বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে নাজিয়ার। এই ব্যাপারে সারবানুর চিকিৎসক সুব্রত হালদার বলেন, “ওর স্ক্রাব টাইফাস ছাড়াও আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। আমি বাইরে থেকে ওর ক্লিনিক্যাল টেস্ট করিয়েছি। শুনেছি হাসপাতাল থেকেও ওর টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” 

Mamata Banerjee-তেলের দাম বাড়িয়ে ৪লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে কেন্দ্র,দাবি মমতার

Modi in Approval ratings-বিশ্বনেতাদের ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর, জনপ্রিয়তার শীর্ষে মোদী

সারবানুর বাবা কুমুরুদ্দিন শেখ একটি অভিজাত ধাবায় রান্নার কাজ করেন। তিনি বলেন, “চিকিৎসকের ওপর আমাদের ভরসা আছে, উনি বলেছেন ঠিক মত ওষুধ খাওয়ালে মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠবে। তাই আর হাসপাতালে না থেকে বাড়িতে ফিরে আসি। সময় মত ওষুধ খাওয়াতে আমাদের কোনও অসুবিধা হবে না।” বছর দুয়েক আগেই অমৃতকুন্ডুর এক ব্যক্তি বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান, আরেক জন অবশ্য চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠেন।

স্বাভাবিক ভাবে ওই রোগ ফের দেখা দিতেই  বিএমওএইচ জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী এলাকার আশা কর্মী থেকে সাব সেন্টারের কর্মীদের সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এই ব্যাপারে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ দেওঘরিয়া বলেন, “রোগী বর্তমানে সুস্থ আছে। তাকে ওষুধ দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই রোগীর প্রতি আমাদের নজরদারি চলবে"।