সংক্ষিপ্ত
বড়দিনের আগেই তুষারপাত কালিম্পংয়ে। কালিম্পংয়ের রিশপে বেড়াতে এসে এইভাবে তুষারপাত দেখতে পাবেন ভাবতেই পারেননি টুরিস্টরা।
বড়দিনের আগেই তুষারপাত কালিম্পংয়ে (Snowfall in Kalimpong)। প্রতিবছর এই সময়টায় রাজ্য তথা রাজ্য পেরিয়ে ভিনরাজ্যের প্রচুর মানুষ এই সময় উত্তরবঙ্গে ঘুরতে বেরোয় তুষারপাত দেখার লোভেই। তবে যে সাক্ষাত তুষারদেব এসে এদিন ধরা দেবেন ভাবতেই পারেননি টুরিস্টরা।
কালিম্পংয়ের রিশপ হল একটি পাহাড়ি গ্রাম। ঝান্ডি থেকে বেড়িয়ে অন্য পাহাড়ী পথে রুটেই যাওয়া যায়। রিশপে শীতের মরশুমের প্রথম তুষারপাত। এখনও দার্জিলিং পাহাড়েই তুষারপাত হয়নি। পর্যটকেরা রিশপে বেড়াতে এসে এইভাবে তুষারপাত দেখতে পাবেন ভাবতেই পারেননি নীশা মেহতা, কপিল ঠাকুরের মতো পর্যটকেরা। রিশপের হোম স্টে মালিক বিমল গুরুং জানিয়েছেন, 'রিশপের বরফ পড়ার খবর পেতেই এখন অনেকেই বুকিংয়ের জন্য ফোন করছেন।' এমনিতেই বাঙালির বর্ষা দেখতে ডিজিটাইলাইজের যুগে ছাতার কথা মনে পড়ে। ভিজে ভিজে প্রেম কিংবা নিদেন পক্ষে ফুটবল, সেসব আর কোথায়। অবসর সময়ে স্টেশনে বাবু হয়ে বসে মুখ ব্যাজার করে বলে প্রৌঢ়রা। তবে ভিজেভিজে প্রেম না হলেও ছাতার তলায় আংশিক ভিজে বৃষ্টিতে রোমান্স নিতে বেশ ভালই বাসে বাঙালি। তবে ঘুরতে গিয়ে তুষারপাত হলে, এতো গরমভাতে ভাপা ইলিসের সমান। মূলত যে সময়ে পারদ নামার কথা, আবহাওয়ার বারংবার বদল এবং নিম্নচাপের প্রভাবে এখন অনেকটাই সময় অনুযায়ী কোনও কিছু তেমনভাবে হয় না। তাই বৃষ্টিতে ছাতা নেওয়া বাঙালি-অবাঙালিদেরই এদিন চুটিয়ে আনন্দ করতে দেখা গেল কালিংপংয়ে তুষারপাতের সময়। পরনের জ্যাকেট ভিজে যাবে, যায় তো যাক। ঠান্ডা লাগলে সে নয় বরং লেপ মুড়ি দিয়ে হেঁচে নেওয়া যাবে। তবে এই তুষারপাতের আনন্দ ছাড়া যায় নাকি, বাড়ি ফিরে সবাইকে বলতে হবে যে।
প্রথমত হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টা জাঁকিয়ে শীত থাকবে কলকাতা সহ রাজ্যে। তারপর ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রা। তবে বড়দিনের আগেই জাঁকিয়ে শীত কার্যত উধাও হবে। ২৫ ডিসেম্বর থেকে এই ঠান্ডা থাকবে না। অর্থাৎ আবার জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সিকিমের উঁচু এলাকায়। তবে যে একেবারে সাক্ষাত নিজের রাজ্যেই জুটবে এমন প্রাপ্তি, তা বোধয় ভাবতেই পারেননি কেউ। আর তার জেরেই কেক-কফি নিয়ে এবার না রাতের ট্রেনেই পাড়ি দেয় কালিম্পং। বড়দিনটা না হয় তুষারপাত দেখতে দেখতেই কাটানো যাবে। আর সারা রাত ধরেই বোধয় বুকিংয়ের ঘন্টাই বাজবে কালিম্পংয়ে।