সংক্ষিপ্ত

বুধবার সকালেই ব্যাপক পারাপতন দেখা যায় দার্জিলিংয়ে। এমনকী টাইগার হিলে ব্যাপক তুষারপাতও হয়। পাশাপাশি সিকিমের মূল শহর গ্যাংটকে চলছে ব্যাপক তুষারপাত। এমনকী মরসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও দেখা গিয়েছে বুধবারই।

সকাল থেকেই রাজ্যে আকাশের মুখ ভার। বছর শেষের এই সময়টাতে অন্যান্য দিন যেমন সকালে রোদ ঝলমলে পরিবেশ দেখা যায়, ডিসেম্বরের বার বেলায় তার দেখা মিলল না। রাজ্যের কমবেশি সব জেলাতেই আকাশ রয়েছে মেঘলা। মাঝেমধ্যে দু-এক ফোঁটা বৃষ্টিও পড়তে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে বুধবার সকালেই ব্যাপক পারাপতন দেখা যায় দার্জিলিংয়ে(Snowfall in darjeeling)। এমনকী টাইগার হিলে ব্যাপক তুষারপাতও হয়। যার ফলে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের(Tourists) মধ্যে এক আলাদা আমেজ দেখা গেল পাহাড়ে। অন্যদিকে ব্যাপক তুষারপাত চলছে সিকিমেও(snowing in Sikkim)। তাপমাত্রায় রেকর্ড পারাপতন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে গ্যাংটকে।

তবে তুষারপাতের বাড়াবাড়ন্তের জেরে সিকিমের একাধিক এলাকায় সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকেরা। মঙ্গলবার রাত থেকে প্রবল তুষারপাত শুরু হয় লাচুংয়ে, বুধবার সকালে তার দাপট আরও বাড়ে। এর প্রভাবে লাচুং পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লাচুংয়ের গাড়ি চালকরা জানাচ্ছেন বর্তমানে ওই শহরে ৩ থেকে ৪ ফুট বরফ পড়ে গিয়েছে। তুষারপাত এখনও চলছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা আরও তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দপ্তর।আর সেখানেই বাড়ছে আশঙ্কা। অন্যদিকে একই পরিস্থিতি পূর্ব সিকিমের সিল্ক রুটেও। সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে জুলুক। সেখানেও আটকে রয়েছেন পর্যটকরা।

আরও পড়ুন- পুর-নির্বাচনে করা পাপ ধুতেই গঙ্গাসাগর গিয়েছেন মমতা, তোপ দিলীপের

পাশাপাশি সিকিমের মূল শহর গ্যাংটকে(Temparature in Gantok) চলছে ব্যাপক তুষারপাত। এমনকী মরসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও দেখা গিয়েছে বুধবারই। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, এদিন গ্যাংটকের পারা -৩.১ ডিগ্রিতে নেমে যায়। এর আগে ১৯৮৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর এই ধরণের পারাপতন দেখা গিয়েছিল গ্যাংটকে। যদি এতটা পারাপতন দেখা যায়নি। সেই সময় গ্যাংটকের পারা নেমে যায় -১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এদিকে হাওয়া অফিস বলছে, আগামী দু-তিনদিনে আরও কমতে পারে গ্যাংটকের তাপমাত্রা। এদিকে তুষারপাতের সঙ্গে দার্জিলিং জুড়ে আরও কনকনে ঠান্ডা পড়েছে৷ আরও নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা৷ উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকার উঁচু জায়গাগুলিতে আগামী কয়েকদিন একই পরিস্থিতি থাকবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। ঘুম, সান্দাকফু, ফালুট, টাইগার হিল, ঘুম, জোড়বাংলো, সুখিয়া পোখারি, আলুবাড়ির মতো জায়গায় প্রবল তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।