সংক্ষিপ্ত

সোমবার বেলা গড়াতেই সংবাদমাধ্যমকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "‌হঠাত্‍ করে ডাকা বনধে অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। অনুরোধ করব বেলা ১২টায় প্রত্যাহার করে নিতে। আমি অনুরোধ করব ধর্মঘটিদের, প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দেবেন। আপনারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিন।"‌ যদিও বনধ প্রত্যাহার করা সম্ভব নয় বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। 
 

বনধকে (Strike) নৈতিকভাবে সমর্থন করে না বিজেপি (BJP)। আজ সকালে বনধ নিয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। যদিও গতকাল পুরসভা নির্বাচনে (WB Municipal Election 2022) তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে প্রহসনের অভিযোগ তুলে আজ ১২ ঘণ্টার (12 Hours Strike) বনধ ডেকেছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সকাল থেকেই বনধের মিশ্র প্রভাব দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। কোথাও স্বাভাবিক জনজীবন রুখতে রেল লাইন (Rail line) আটকেছে বিজেপি, কোথাও আবার পথে বসেছে তারা। কিন্তু, বনধ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অন্য সুর শোনা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গলায়। বনধ প্রত্যাহার করার জন্য দলীয় নেতৃত্বকে অনুরোধ করেন তিনি। 

সোমবার বেলা গড়াতেই সংবাদমাধ্যমকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "‌হঠাত্‍ করে ডাকা বনধে অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। অনুরোধ করব বেলা ১২টায় প্রত্যাহার করে নিতে। আমি অনুরোধ করব ধর্মঘটিদের, প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দেবেন। আপনারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিন।"‌ যদিও বনধ প্রত্যাহার করা সম্ভব নয় বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। 

আরও পড়ুন- বনধ সফল করতে রাস্তায় বিজেপি কর্মীরা, খিদিরপুর ও বেহালাতে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি

আজ সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে টেঙ্গুয়াতে পথ অবরোধ করেন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। টোটো চালকদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নন্দীগ্রাম চণ্ডীপুর রুটে সমস্ত বাস, ট্রেকার বন্ধ রয়েছে। টেঙ্গুয়াতেই সরকারি বাসকে বাধা দেন বনধ সমর্থকরা। পুলিশ তাঁদের সরাতে গেলে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নন্দীগাম-চণ্ডীপুর রাজ্য সড়ক এরপর অবরোধ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। যদিও এরপর বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও, বনধ তুলে নেওয়ার কোনও ঘোষণা বিজেপির তরফে করা হয়নি। বেলা সাড়ে ১২ টার পরও বিটি রোডে বিজেপি কর্মীদের পথ অবরোধকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। টবিন রোডের মুখে পথ অবরোধ করার চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী- সমর্থকরা। পুলিশ তাঁদের সরাতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয় অবরোধকারীদের।

আরও পড়ুন- বনধ রুখতে কড়া রাজ্য সরকার, নবান্নের তরফ থেকে জারি নির্দেশিকা

এদিকে সূত্রের খবর, বনধ ডেকে বিপাকে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। কারণ এই বনধকে মানুষ সমর্থন করেনি বলে জানা গিয়েছে। বরং কোথাও কোথাও অসুবিধায় পড়ে বিজেপির উপর বিরক্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। গণপরিবহণ থেকে সবকিছু আজ স্বাভাবিক গতিতে চলছে। সুতরাং বনধ ডেকে ভুল করেছেন বুঝতে পেরেই বনধ প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে যদি প্রত্যাহার করা হয় তাহলে আরও হাস্যকর হবে বিজেপি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আরও পড়ুন- বনধে অফিস না এলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার