সংক্ষিপ্ত
উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট মহকুমা হাসনাবাদ ব্লকের টাকি পর্যটন কেন্দ্র বরাবরই ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। শীতের আমেজ শুরু হতেই লকডাউন এর গণ্ডি পেরিয়ে বদ্ধ ঘর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টায় পর্যটকদের ভিড় জমাচ্ছে টাকির পারে।
শহরে হঠাত করেই নামছে তাপমাত্রা। ফ্যান চালানো বন্ধ হচ্ছে ধীরে ধীরে। রোদ পড়লেই বেলা গড়িয়ে ঝুপ করে নেমে আসছে আন্ধকার। হালকা ঠান্ডার ওম জড়িয়ে শীতআমেজ মাখছে বাংলা। এই সময়টা বড় অদ্ভুত। না গরম না ঠান্ডার মিষ্টি আবেশ বুকে জড়িয়ে ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি শুষে নিতে চায় শীতকালের ঘুরে বেড়ানোর সুখ। ছোট্ট ছুটির ফাঁকে মন পাড়ি দেয় ইতি উতি। এই বাংলার আনাচে কানাচে লুকিয়ে কত অদেখা, সেই খোঁজেই বাক্স বাঁধে আম বাঙালি।
উত্তর ২৪ পরগণার(North 24 Paragana) বসিরহাট মহকুমা (Basirhat subdivision) হাসনাবাদ ব্লকের (Hasnabad block) টাকি পর্যটন কেন্দ্র (Taki tourist center) বরাবরই ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু (tourist attraction)। শীতের আমেজ শুরু হতেই লকডাউন এর গণ্ডি পেরিয়ে বদ্ধ ঘর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টায় পর্যটকদের ভিড় জমাচ্ছে টাকির পারে। একদিন থেকে দুদিনের ভ্রমণের জায়গা হিসেব টাকি বরাবরই রাজ্যে ছড়িয়ে ভিন রাজ্য এমনকি বিদেশি পর্যটকদের কাছে এক বাড়তি পাওনা।
শিয়ালদা থেকে লোকাল ট্রেনে টাকি স্টেশনের দূরত্ব ৭২ কিলোমিটার। প্রায় দু'ঘণ্টা চলার পর টাকিতে পৌঁছে যাওয়া। ধর্মতলা থেকে সরকারি ও বেসরকারি বাসে টাকি যেতে পেরোতে হয় প্রায় ৮৬ কিলোমিটার। সময় লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টা। চলার পর টোটো রিকশায় করে পর্যটনকেন্দ্র। তারপরে সরকারি-বেসরকারি লজগুলোতে অল্প খরচায় একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার বেরিয়ে পড়া।
চোখের সামনে ভেসে ওঠে ইছামতীর চওড়া গাঙ। শুধু কী তাই, এর পাড়ে রয়েছে একটি মিনি সুন্দরবন যেখানে রয়েছে ম্যানগ্রোভের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। সেখানে পরিযায়ী পাখিদের নিত্য আনাগোনা। এক টুকরো সুন্দরবন দেখতে মানুষ এখানে ভিড় জমান। তারপর লঞ্চঘাট থেকে ইছামতি নদীতে নৌকা বিহারে ভ্রমণ এক অসাধারন অনুভুতি। একটু দূরে তাকালেই বাংলাদেশ তথা ওপার বাংলা একবার নিজে চোখে চাক্ষুষ করে নেওয়া।
Rahul Gandhi-হিন্দুত্ব মানেই শিখ-মুসলিমকে পেটানো, বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
Climate Summit-জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতায় ২১টি দেশ, কোন প্রশ্নে এককাট্টা ভারত-চিন
তারপর নদীর কলকলানি, ছুটে চলা নৌকা সবটাই আবেগ-অনুভূতি জড়িয়ে রয়েছে। এখানে বহু প্রাচীন রাজবাড়ী থেকে জমিদার বাড়ির দেওয়ালে রূপকথারা যেন কথা বলে। আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে কত স্মৃতি, কত ইতিহাস। সেটাও পর্যটকরা একবার নিজে চোখে দেখে নেওয়ার সুযোগ পান। সব মিলিয়ে টাকি ভ্রমণ অল্প খরচায় যেন পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ।
কয়েকদিন আগেই রাজ্যে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছিল। হেমন্তেই শীতের অনুভূতি পাচ্ছিলেন রাজ্যবাসী। ভোরের দিকে কুয়াশাও পড়ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছিল। এমনকী, অনেকটাই কমে গিয়েছিল রাতের তাপমাত্রা। বেশ ভালোই ঠান্ডার অনুভূতি পাচ্ছিলেন স্থানীয়রা। সেই আমেজে গা ভাসিয়ে একবার ঘুরে আসতেই পারেন টাকি থেকে। মন উড়ে চলুক ছোট্ট ছুটির সন্ধানে।