সংক্ষিপ্ত

সোমবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক মধুছন্দা বসু রেণু খাতুনের কব্জি কেটে নেওয়ার মামলায় খুনের চেষ্টার ধারাকে বাতিল করেন। অপেক্ষাকৃত লঘু ধারাগুলির মামলা স্থানান্তরিত করা হবে এসিজেএম আদালতে।
 

রেণু খাতুনের অপরাধীদের খুনের চেষ্টার দায় থেকে মুক্ত করল আদালত। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে রেণু খাতুনের কব্জি কেটে নেওয়ার মামলা থেকে খুনের চেষ্টার ধারা বাতিল করা হল। এই খবর জানতে পেরে রীতিমত স্তম্ভিত রেণু। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। 

সোমবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক মধুছন্দা বসু রেণু খাতুনের কব্জি কেটে নেওয়ার মামলায় খুনের চেষ্টার ধারাকে বাতিল করেন। অপেক্ষাকৃত লঘু ধারাগুলির মামলা স্থানান্তরিত করা হবে এসিজেএম আদালতে। রেণুর কব্জি কেটে নেওয়ার পর তাঁর স্বামীই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। খুনের চেষ্টার সপক্ষে বিশেষ তথ্য প্রমাণও না মেলায় ওই ধারায় মামলা বাতিল করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা। 

আদালতের নির্দেশ শুনে রেণু জানিয়েছেন, "কেন এমন হচ্ছে বুঝতে পারছি না। দরকার হলে আবার আবেদন করব। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দেব।" 
প্রসঙ্গত, এর আগেই জামিন পেয়েছেন রেণুর অপরাধীরা। এই খবর যেন ফের একবার আতঙ্কের কালো ছায়া নিয়ে এল রেণুর জীবনে। 'যারা আমার হাত কেটে দিল তাদের কেন জামিন!’ প্রশ্ন তুলেছেন রেণু। 

আরও পড়ুন 'আমিও আইনজীবী, প্রয়োজনে কেসের জন্য আদালতে আসতে পারি', কলকাতা হাইকোর্টের অনুষ্ঠানে বললেন মমতা 

গত ৪ জুন কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামের বধু রেণু খাতুনের হাতের কব্জি কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বমীর বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে নার্সিং-এর চাকরি না করতে দেওয়ার জন্যই এই নৃশংস ঘটনা, এমনটাই উঠে আসে তদন্তে। শুধু রেণুর স্বামী শেখ সরিফুল ওরফে সিরাজ শেখ একা নয়ট তদন্তে জানা যায় ঘটনায় জড়িত ছিল সিরাজের এক তুতো ভাই-সহ আরও দুই সঙ্গী। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পরে যায় রাজ্য জুড়ে। গ্রেফতার করা হয় রেণুর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি -সহ ছ’জনকে। তাদের বিরুদ্ধে  বধূ নির্যাতন, খুনের চেষ্টা-সহ ছ’টি ধারায় এসিজেএমের কাছে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। গত ৩০ জুন আদালতে জমা দেওয়া ৪১৮ পাতার চার্জশিটে প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ, চিকিৎসক, স্থানীয় বাসিন্দা-সহ ২৪ জনকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়ে দেখা করেছেন রেণুর সঙ্গে। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চাকরিও পান রেণু। 

আরও পড়ুন 'হর ঘর তেরঙ্গা'র সাফল্যে খুশি প্রধানমন্ত্রী, 'মন কী বাত'তে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ মোদীর

কৃত্রিম হাত দিয়েই নিজের কর্তব্য করে চলেছেন রেণু। বর্তমানে একটি নার্সিং কলেজে  কর্মরত তিনি। কিন্তু আচমকাই রেণুর জীবনে ছন্দপতন ঘটাল একটি খবর। জামিন পেয়েছে রেণুর অপরাধীরা। এই খবর শোনার পর থেকে রীতিমত আতঙ্কে রেণু। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমি আতঙ্কিত। তদন্তে গাফিলতি থাকতে পারে পুলিশের। তাই হয়তো জামিন পেয়ে গেল ওরা।’’ এই ঘটনায় আবার নতুন করে ভয় পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি। তাঁর উপর আবার হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা রেণুর।