সংক্ষিপ্ত
তিনি বলেন, এই ধরনের জয়প্রকাশদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। সবাই বুঝতে পারছে কারা তৃণমূলের সাথে সেটিং করে চলছে।
জয়প্রকাশ মজুমদারের (Joyprakash Majumdar) মতো আরো তিন চারজন বিজেপির (BJP) মধ্যে আছে। তাঁদের দ্রুত চিহ্নিত করা হবে। যাঁরা দলের মধ্যে থেকে দলটাকে নষ্ট করছে তাদের চিহ্নিত করা হবে। তাঁরা যত তাড়াতাড়ি চলে যান ততই দলের জন্য মঙ্গল। বুধবার বাঁকুড়ার (Bankura) সার্কাস ময়দান এলাকার সদ্য প্রয়াত এক বিজেপি নেতার বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chaterjee)।
মঙ্গলবারই তৃণমূল দাবি করে জয়প্রকাশ মজুমদারের পর বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা তৃণমূলে আসতে চাইছেন। এপ্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বুধবার লকেট চট্টোপাধ্যায় কার্যত তৃণমূলের দাবিতেই সিলমোহর দিলেন। তিনি বলেন, এই ধরনের জয়প্রকাশদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। সবাই বুঝতে পারছে কারা তৃণমূলের সাথে সেটিং করে চলছে। হোয়াটস আপ গ্রুপে কেউ কেউ এখনো থেকে গেছে। তারা নিজেরা বলে না যে বিজেপি ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু তারা হোয়াটস আপ গ্রুপ থেকে খবর বাইরে বের করে দিচ্ছে। এই ধরনের ব্যাক্তিদের চিহ্নিত করে আগে বের করা হবে। তবেই দল বাঁচবে।
আরও পড়ুন- ‘নিজেদের সীমারেখা বুঝুন’, নজরুল মঞ্চ থেকেই ফের সংবাদমাধ্যকে হুঁশিয়ারি মমতার
আরও পড়ুন- যুদ্ধ আবহে তরনী মোহনের লোক সঙ্গীতেই শান্তির বার্তা, নতুন গান নিয়ে জোর চর্চা সঙ্গীত মহলে
এদিকে, মঙ্গলবার সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তৃণমূলে যোগ দিলেন বহিস্কৃত বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে ফিরহাদ হাকিমের হাত থেকে ঘাসফুলের পতাকা তুলে নেন তিনি। আর তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজ্যের সহ সভাপতির পদ পান। তাঁকে রাজ্যের সহ সভাপতির পদ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আঁচ পাওয়া গিয়েছিল অনেক দিন আগে থেকেই। রাজ্য বিজেপি (State BJP) নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বিবাদ কিছুতেই মিটছিল না। এমনকী, নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেও মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর এবার সেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। মঙ্গলবার জয়প্রকাশ মজুমদার একেবারে তৃণমূলের নজরুল মঞ্চের মিটিংয়ে উপস্থিত হন। সেখানেই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। আর এদিন এই মঞ্চে দেখা যায় ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকেও (Prashant Kishore)।
দল ছাড়ার পরে বিজেপি নিয়ে লাগাতার তোপ দাগতে দেখা যায় জয় প্রকাশকে। তাঁর সাফ দাবি, দলের যা অবস্থা তা দেখে সহজেই বলা যায় বিজেপি বর্তমানে আইসিইউতে আছে। এদিকে বিজেপির অন্দরেই বিক্ষুব্ধরাও জয়প্রকাশ নিয়ে ফাঁপরে পড়েছেন। কারণ তারাও শেষ মুহুর্তে জানতেন না উনি দল বদল করছেন।