সংক্ষিপ্ত
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলার শুনানি হয়। সেই সময়ই ইডির পক্ষের আইনজীবী এম ভি রাজু সওয়াল করার সময় বলেন, তাঁদের কাছে খবর রযেছে গরুপাচারকাণ্ডে ফেরার বিনয় মিশ্র দুবাইতে রয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুবাই যাত্রায় আর বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন না এনফোর্সমেন্ট ডিকেক্টরেট। চোখের চিকিৎসার জন্য দুবাই যাওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাতে আপত্তি জানিয়েছিল গরুপাচার মামলার তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে পাল্টা ইডিকেই ভর্ৎসনা করে।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলার শুনানি হয়। সেই সময়ই ইডির পক্ষের আইনজীবী এম ভি রাজু সওয়াল করার সময় বলেন, তাঁদের কাছে খবর রযেছে গরুপাচারকাণ্ডে ফেরার বিনয় মিশ্র দুবাইতে রয়েছে। কারণ সেখানে তাঁর বাড়ি রয়েছে। ফলে অভিষেক যদি দুবাইতে যান তাহলে বিনয় মিশ্রের সঙ্গে যোগসাজেশ করতে পারেন। সেখান থেকে অভিষেকও দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করতে চান।
ইডি-র আইনজীবীর এই বক্তব্য শুনে রীতিমত অবাক হয়ে যান বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, কেন্দ্রীয় সরকার আর ইডি যদি জেনে থাকে বিনয় মিশ্র দুবাইতে রয়েছে - তাহলে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? কেন বিনয় মিশ্রকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না ? এই প্রশ্নও করেন তিনি। তবে ইডির তরফে বলা হয় বিনয় মিশ্রকে দুবাই থেকে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে অভিষেক দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন - ইডির এই সওয়ালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রীতিমত ভর্ৎসনা করেন। বিচারপতির প্রশ্ন ছিল, এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে বিনয় মিশ্রকে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ এখনও পর্যন্ত মূল অপরাধীকেই তারা ধরতে পারছে না। পাল্টা অভিষেকের দুবাইতে যাওয়া আটকাতে চাইছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দুবাই যাওয়ার ছাড়পত্র দেন। তবে তা শর্ত সাপেক্ষে। বলা হয়েছে, অভিযোগ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে জানাতে হবে বিমানের টিকিট সম্পর্কে। পাশাপাশি হোটেলের ফোন নম্বর ও হাসপাতালের নামও ইডির আধিকারিকদের জানিয়ে যেতে হবে।
সিবিআই-ইডি ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে। তিনি বলেন, সারদা নারদ কাণ্ডে এখনও কিছু করতে পারেনি সিবিআই। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনগুপ্তের সঙ্গে একমঞ্চে ছিলেন বলে মদন মিত্রকে তিন বছর জেরে পুরে রেখেছিল। অথচ সুদীপ্ত সেনগুপ্ত যাদের নাম করে চিঠি লিখেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সিবিআই নিরপেক্ষ নয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীরব মোদীর সঙ্গে এক মঞ্চে ছিলেন। নীরব মোদী কোটি কোটি টাকা জালিয়াতি করে দেশ ছেড়ে চলে গেছে। তাহলে মোদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলেও দাবি করেন তিনি।
ব্যাঙ্কে ঢুকে ম্যানেজারকে গুলি করে খুন, পরপর হিন্দু খুনে আতঙ্ক বাড়ছে উপত্যকায়
স্ত্রীর সঙ্গে ১৩ বছর পর সিনেমা হলে অমিত শাহ, দেখলেন অক্ষয় কুমারের সম্রাট পৃথ্বীরাজ
Top Gun: Maverick-এ টম ক্রুজের জ্যাকেট বদল হলেও চিনে ছবি মুক্তি নিয়ে ধোঁয়াশা