সংক্ষিপ্ত

সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দেবার নাম করে যুবতিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই যুবতিকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।

সরকারি প্রকল্প পাইয়ে দেবার নাম করে যুবতিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই যুবতিকে একাধিকবার ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে জোর করে সাদা কাগজে সই করিয়ে রেজিস্ট্রি করে অভিযুক্ত। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পূর্ব বর্ধমানের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি।

পুলিশকে দেওয়া যুবতির অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতা শাসকদলের হেভিওয়েট বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দেয়। সংসাদে দারিদ্রতা থাকায় বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে অংশ নেওয়ার পরামর্শ দেয়। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে ওই নেতা যুবতিকে নানা জায়গায় নিয়ে যেতেন। তারপর সারাদিন ধরে জোর করে ধর্ষণ চালাতেন তিনি। এমনকি এই কথা প্রকাশ্যে আসলে বিপদ হবে, হুমকিও দেওয়া হয় ওই তৃণমূল নেতার তরফে। নির্যাতিতার অভিযোগ, বারবার তাঁকে , তাঁর বাবা-মাকে খুনের হুমকি দেওয়া অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন, পার্থ-পরেশ-কেষ্ট-র মোট সম্পত্তি কত ? ৫ বছরের আয়কর রির্টান জানতে চেয়ে চিঠি সিবিআই-র

জোর করে একাধিক সাদা পেপারে, সই করিয়ে নেয় অভিযুক্ত। এমনকি ওই যুবতিকে স্ত্রী সাজিয়ে ছবিও তুলে রাখা হয়। যাতে তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ না করতে পারে। খোলামেলা পোষাক পরিয়ে তারপর ধর্ষণ করা হত। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তৃণমূল নেতার হাত থেকে বাঁচার জন্য, ওই যুবতি পরিবার নিয়ে পালিয়ে আসেন নদিয়ার হাঁসখালিতে। গত ২২ মে দুই অপরিচিত ব্যাক্তি এসে তাঁদের নিজের জায়গায় ফিরে যেতে বলেন। ওই ঘটনার পর হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা যুবতি। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন, আজ ফের কেষ্টকে তলব করল সিবিআই, 'প্রতিহিংসার রাজনীতি' বললেন কুণাল

রাজ্যে ফের আরও একটা ধর্ষণকাণ্ডে উদ্বেগ বাড়ল প্রশাসনের। বিশেষ করে এই ঘটনায় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই অভিযোগ ওঠায় কার্যত চাপের মুখে দল।  এদিকে রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ, গর্ভপাতের ঘটনা লেগেই আছে। সম্প্রতি বনগাঁ এলাকাতেও একটি নাবালিকার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে। তফাৎ শুধু এটুকুই যে, সেখানে বিয়ের প্রতিশ্রুতি না দিয়েই ঘনিষ্ঠ হয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে প্রেমিকাকেই। কিন্তু কথা হচ্ছে আর কত এই ধরণের ঘটনা হবে পশ্চিমবঙ্গের বুকে।  কেন এই নৃশংসঘটনাগুলিতে যবনিকা টানা যাচ্ছে না, কেন রাজ্যের অপরাধ মনষ্কদের লাগাম পড়ানো যাচ্ছে না, ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে সমাজের স্তরে।

আরও পড়ুন, 'বাংলাদেশি নাগরিককে নির্বাচিত করার চেষ্টা, এই দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা উচিত', বিস্ফোরক শুভেন্দু

পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ছাত্রী-মহিলা-গৃহবধূ একা বাইরে বের হতে রীতিমতো আতঙ্কে থাকছে। গ্রাম বাংলা, মফস্বলে শুনশান এলাকাগুলিকেই টার্গেট করছে ধর্ষণকারীরা। তবে পৈশাচিক ধর্ষণের ঘটনার হাজারো উদাহরণ রয়েছে কলকাতার বুকে। গোবরডাঙা, দেগঙ্গা, মালদহ, মাটিয়া, হাঁসখালি, ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন একের পর এক ধর্ষণ হয়েই চলেছে রাজ্যে। প্রায় প্রতিসপ্তাহেই একাধিক গণধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে। কোথাও খুনের হুমকি, কোথাও ধর্ষণের পর হত্যা, কোথাও আবার ধর্ষণের পর দেহ দাহ করা হচ্ছে। ভয়াবহ একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে পশ্চিমবঙ্গে।