সংক্ষিপ্ত

দিল্লি পৌঁছে সংসদ ভবনের বাইরে  দাঁড়িয়ে ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন ডেরেক। তবে নিজের টি-শার্ট পরা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু জানিয়েছেন একজন সাংসদকে একতরফাভাবে 'পাপ্পু ' বলার দিন শেষ

অমিত শাহকে কটাক্ষ করে 'ইন্ডিয়াস বিগেস্ট পাপ্পু'বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস নেতার এই কটাক্ষই বর্তমানে অন্যতম হাতিয়ার  হতে চলেছে ঘাসফুল শিবিরের । কারণ গতকাল জওহর সরকার এই একই কথা টুইট করেছিলেন। পাশাপাশি অমিত শাহের একটি কার্টুন ছবিও পোস্ট করেছিলেন। এবার সেই একই কাজ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন।  তবে আরও একটু সুর চড়িয়ে। কারণ তিনি 'ইন্ডিয়াস বিগেস্ট পাপ্পু'লেখা একটি টি-শার্ট করে সোজা চলে গেলেন সংসদে। কলকাতা থেকে দিল্লিগামী বিমানেও নাকি তাঁকে একই টিশার্ট পরে যেতে দেখা গেছে। 

দিল্লি পৌঁছে সংসদ ভবনের বাইরে  দাঁড়িয়ে ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন ডেরেক। তবে নিজের টি-শার্ট পরা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু জানিয়েছেন একজন সাংসদকে একতরফাভাবে 'পাপ্পু ' বলার দিন শেষ। যা কংগ্রেস করতে পারেনি তা করে দেখাবে তৃণমূল কংগ্রেস। তেমনই দাবি এক তৃণমূল নেতার। 

তবে পাল্টা বিজেপি দাবি করেছে রাজ্যে তৈরি হওয়া ক্ষত মেরামতি করতে আর জাতীয় মিডিয়াগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে রাজ্যরাতনীতিতে তেমন কোনও লাভ হবে না।  বিজেপির কথায় একের পর এক দুর্ণীতি সামনে আসায় রাজ্যরাজনীতিতে কিছুটা হলেও কোনঠাসা হয়ে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই ভাবমূর্তি ফেরাতেই এজাতীয় আক্রমণ। 

 শুক্রবার  কয়সাকাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তলব করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। নির্ধারিত সময়ই তৃণমূল নেতা হাজিরা দেন। দীর্ঘ জেরাও করা হয়। কিন্তু সেখান থেকেই বেরিয়েই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সরাসরি নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তিনি একাধিক বিষয় টেনে এনে অমিত শাহকে লক্ষ্য করেন। বলেন, দেশের এক দল নেতা অন্য একটি দলের নেতাকে পাপ্পু বলে কটাক্ষ করে, কিন্তু  'এই দেশের সবথেকে বড় পাপ্পু অমিত শাহ।' এখানেই শেষ করেননি তিনি। বলেন 'তাঁর অসংখ্য ব্যর্থতা তাঁকে এই খেতাব পাইয়ে দিয়েছে। অন্য মানুষকে এই নামে ডাকার পরিবর্তে তাঁর নিজের ট্র্যাক রেকর্ডের দিকে মনোনিবেশ করা জরুরি। তাঁর নিজের কাজগুলির দিকে মন দেওয়া উচিৎ। হাতে থাকা কাজগুলি সরবরাহ করা জরুরি।'

কার্যত ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই রাহুল গান্ধীকে বিজেপির একাধিক নেতা মন্ত্রী পাপ্পু বলে কটাক্ষ করেন। যার মধ্যে রয়েছে অমিত শাহও। কিন্তু রাহুল গান্ধী কখনই এই প্রতিউত্তর দেননি। তবে  রাহুল গান্ধীকে যে কটাক্ষ বা মজা  করেই বিজেপির তরফ থেকে পাপ্পু নামটি দেওয়া হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

'আমাকে তোলাবাজ বললে কোর্টে নিয়ে যাব', মেয়ো রোড থেকে শুভেন্দুকে হুঁশিয়ারি অভিষেকের

চার দিনের স্বস্তি অভিষেকের - সোমবার পর্যন্ত কড়া পদক্ষেপ নয়, EDকে বলল সুপ্রিম কোর্ট

“আগামী দিনে পিসি-ভাইপোকেও হয়তো কেষ্টর মতো মাটিতেই শুতে হবে”, নিউটাউনে প্রাতঃভ্রমণে বিরোধীদের দিলীপ-বাণ