সংক্ষিপ্ত
আজ সকালে বাজার করে বাইক নিয়ে সুন্দরপুর মোড়ের ফাঁকা এলাকা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মোস্তাফা। ঠিক সেই সময় একদল দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়া হয়। ধানক্ষেতের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন মোস্তাফা।
সাত সকালে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় খুন করা হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে। মৃতের নাম মোস্তাফা শেখ (৩৫)। স্থানীয় শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি ছিলেন বড়ঞার কুরুন্নরুন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, আজ সকালে বাজার করে বাইক নিয়ে সুন্দরপুর মোড়ের ফাঁকা এলাকা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মোস্তাফা। ঠিক সেই সময় একদল দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়া হয়। ধানক্ষেতের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন মোস্তাফা।
বোমার জেরে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। এরপর গুলি ও বোমার আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয়রা। তখনই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তারপরেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মোস্তাফাকে। নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এদিকে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতের স্ত্রী।
স্থানীয়দের অনেকেই জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমস্যা ও আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে দিন কাটছিল মোস্তাফার। এমনকী, পারিবারিক অশান্তির তথ্য উঠে আসে তাঁদের কথায়। তাঁদের অভিযোগ, নানা সমাজবিরোধী কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল এই তৃণমূল নেতা। সেই কারণেই তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতেই এই নিশংস ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- ছোট ইলিশ ধরলে বাতিল হবে ট্রলারের রেজিস্ট্রেশন, পদক্ষেপ রাজ্য মৎস্য দফতরের
তৃণমূলের একাংশের দাবি, মোস্তাফা এলাকায় দক্ষ সংগঠক বলে পরিচিত ছিলেন। ফলে তাঁর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা চক্ষুশূল হয়ে উঠছিল অন্যদের কাছে। সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, "আমি এই মুহূর্তে দলীয় কাজে রাজ্যের বাইরে রয়েছি। ঘটনা শুনেছি খুবই মর্মান্তিক। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে পুলিশ প্রশাসন দেখছে। সেক্ষেত্রে আইনি পথে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
এই ঘটনা প্রসঙ্গে দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপি সভাপতি গৌরী শংকর ঘোষ বলেন, "সর্বত্র তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। সেই কারণেই ওই দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিজের দলের দুষ্কৃতীদের হাতেই খুন হতে হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও ঠিক তাই ঘটেছে।"
আরও পড়ুন- ফের শহরে BJP কর্মীদের উপর হামলা, বেধড়ক মারধর-দোকান ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল
আরও পড়ুন, 'মুখ্য়মন্ত্রীর পছন্দের শিল্প লালবাজারে', গ্রেফতারির পর চপ-মুড়ি পেয়ে চটলেন অগ্নিমিত্রা
অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এছাড়া গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত তিনজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাদের।