সংক্ষিপ্ত

দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ের ঘটকপুকুর এলাকায় এক গৃহবধূকে ভয় দেখিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢুকে জোর করে ধর্ষণ করল লতে মান মোল্লা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই লতে মান একসময়ে মোল্লা তৃণমূল-কর্মী ছিল। প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাদের সাথে ফটো তুলে এলাকায় মস্তানি করে বেড়াত।

তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালিয়ে নিজেকে তাবড় মনে করত ভাঙড়ের লতে মান মোল্লা। শুধু মনে করাই নয়, এলাকায় সাধারণ মানুষের ওপর মস্তানিও চালাত সে। সেই মস্তানি গিয়ে পৌঁছল একেবারে ধর্ষণের ঘটনায়।

দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ের ঘটকপুকুর এলাকায় এক গৃহবধূকে ভয় দেখিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢুকে জোর করে ধর্ষণ করল লতে মান মোল্লা। ওই গৃহবধূর অভিযোগ, বাড়িতে তিনি একা থাকাকালীন তাঁর স্বামীকে প্রাণে মেরে দেবার হুমকি দিয়ে তাঁকে ভয় দেখিয়ে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে লতে মান। এরপর তাঁর অশ্লীল ছবি তুলে রেখে সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবার হুমকিও দেখানো হয় নির্যাতিতা ওই গৃহবধূকে। এতেই শেষ নয়, ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানিয়ে দিলে তাঁকে প্রাণেও মেরে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় অভিযুক্ত। 

তার ক্রমাগত হুমকিতে সন্ত্রস্ত ও বিরক্ত হয়ে অবশেষে কোনওরকম যোগাযোগ না রাখার সিদ্ধান্ত নেন ওই গৃহবধূ। যোগাযোগ করতে না পেরে শেষমেশ তাঁর সমস্ত অশ্লীল ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেয় লতে মান মোল্লা। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই লতে মান একসময়ে মোল্লা তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী ছিল। ভাঙড়ের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাদের সাথে ফটো তুলে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে  এলাকায় মস্তানি করে বেড়াত।

গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় তাঁর স্বামী জানতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ভাঙড় থানার পুলিশ লতে মান মোল্লাকে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ জানান, তৃণমূল কর্মী হলেও দল থেকে সে এ বিষয়ে কোনও সাহায্য পাবে না। পুলিশ আইনতভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে। দলীয় কর্মী হলেও অভিযুক্ত লতে মানের পাশে না দাঁড়ানোরই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেতা কাইজার।


আরও পড়ুন-
মৃত ব্যক্তিদের নামে অর্পিতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, প্ল্যানে ছিল ফিল্ম সিটি? 
হাওড়ায় টাকাসহ গ্রেফতার ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক সাসপেন্ড, উঠল অপারেশন লোটাসের অভিযোগ
SSC দুর্নীতির প্রতিবাদে, মধ্যমগ্রামে ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে অভিনব প্রচার CPIM-এর