সংক্ষিপ্ত
দুই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে গিয়ে তুমুল অশান্তি। প্রথম নাকি দ্বিতীয় কার কাছে থাকবেন, সমাধানের উত্তর মেলার আগেই একরত্তি কন্যা এবং দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুনের পথ বাছল স্বামী।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার মন্দিরবাজার থানা এলাকায় জোড়া দেহ উদ্ধার ( MandirBazar Police Station Area in South 24 pargana )। দুই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে গিয়ে তুমুল অশান্তি। প্রথম নাকি দ্বিতীয় কার কাছে থাকবেন। সমাধানের উত্তর মেলার আগেই একরত্তি কন্যা এবং দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুনের পথ বাছল স্বামী।দক্ষিণ ২৪ পরগণার মন্দিরবাজার থানা এলাকায় জোড়া দেহ উদ্ধারের পর এমনটাই অনুমান পুলিশের। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত দুইজনকে সনাক্ত করা হয়েছে এবং স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার মন্দিরবাজার থানা এলাকার চাঁদপুর-চৈতন্যপুর থানা এলাকা থেকে একজন তরুণী এবং এক শিশু উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে দুটি দেহকে সনাক্ত করতে আসেন মথুরাপুর গুঞ্জিরপুরের বাসিন্দা খইনুর বিবি। জাানন মৃত তরুণীটি তাঁরই মেয়ে। নাম তুহিনা বিবি। এবং শিশুটির নাম সুহানা খাতুন। মেয়েকে নিয়ে গুঞ্জিরপুরে থাকতেন।তিনি পুলিশের কাছে অস্বাভাবিক মৃত্য়ুর অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি তিনি। এদিকে অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়ে তুহিনার স্বামী অজিতকে। মন্দিরবাজার এলাকার এসডিপিও সৌভিক পাত্র জানান, আজিজুল ওরফে অজিতের দুই স্ত্রী। দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী তুহিনা বিবি। এবং সন্তানের নাম সুহানা খাতুন। খইনুর বিবি জানান, ২ মার্চ ডাক্তার দেখানোর নাম করে তুহিনাকে ডেকে পাঠান অজিত। তারপর থেকে মা-মেয়ের কোনও হদিস মেলেনি।তাঁর অনুমান পুকুরের কাছে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলা হয়েছে মেয়েকে। দুইজনকে খুন করে পালিয়ে যায় আজিজুল। বুধবার ধৃত আজিজুলকে আদালতে তোলা হবে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ। জোড়া খুনের পিছনে আরও কোনও অভিসন্ধি লুকিয়ে আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীর দল।
প্রসঙ্গত, হাওড়াতেও একটি খুনের ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেখানে অপরাধী ছিলেন নারী। পরকীয়ায় বাধা পেয়ে স্বামীকে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল হুগলিতে গৃহবধূর বিরদ্ধে। হুগলির চূচূড়ার রবীন্দ্র নগরে ঘটনাটি ঘটেছে। বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক বাঁচাতে নিজের স্বামীকে মৃত্য়ু পথে ঠেলে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর চল্লিশের মৃত স্বামীর নাম সুশান্ত মিস্ত্রি। রবীন্দ্র নগরের চারের গোড়ার বাসিন্দা তিনি। বছর ২০ আগে তিনি ওই এলাকারই বাসিন্দা সাথী কুলুর সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। তাঁদের দুটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবীন্দ্র নগরেরই এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সাথী। এনিয়ে সংসারে প্রায় অশান্তি লেগেই থাকত। এমনকি সপ্তাহ খানেক আগে সুশান্তকে মারধোর অভিযোগও উঠেছে সাথীর বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, বুধবার সুশান্তকে বিষ খাইয়ে বাড়িতে তালা দিয়ে বাপের বাড়ি চলে যান তিনি। এরপর অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার হয় সুশান্তর দেহ।