সংক্ষিপ্ত
- এনআরসি আতঙ্কে জোড়া মৃত্যু কাটোয়ায়
- কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন দুই বৃদ্ধ
- আতঙ্ক কাটাতে সচেতনতামূলক প্রচার চালাবে প্রশাসন
- জানালেন কাটোয়া দুই নম্বর ব্লকের বিডিও
এ রাজ্যে এনআরসি লাগু না করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষের আতঙ্কে যেন কিছুতেই কাটছে না। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে হৃদরোগে আক্রান্ত দুই বৃদ্ধের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। মৃত দুইজনের পরিবারের দাবি, এনআরসি নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন তাঁরা। আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড সংশোধনেরও চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, মানসিক চাপে হৃদরোগে আক্রান্ত হন দুই বৃদ্ধ।
আরও পড়ুন: দলের কর্মীদের সঙ্গেই প্রতারণা, চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকা 'আত্মসাৎ' তৃণমূল নেতার
একজনের নাম আবুল কাশেম শেখ, আর একজনের নাম আবদুস সাত্তার শেখ। দু'জনেরই বাড়ি কাটোয়া দুই নম্বর ব্লকের করুই পঞ্চায়েতের নতুন গ্রামে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন আবুল। যতক্ষণে চিকিৎসক এসে পৌঁছন, ততক্ষণে সব শেষ। কয়েক ঘণ্টার বাদে শুক্রবার ভোরে রাতে নিজের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আবদুস সাত্তার শেখ। মৃত দু'জন ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন বলে জানা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, কাটোয়ার নতুন গ্রামে বেশিরভাগ বাসিন্দারই ভোটার কার্ড ও আধার কার্ডে তথ্য ভুল আছে। তথ্য সংশোধন করা নিয়ে চিন্তায় সকলেই। মৃত আবুল কাশেম শেখের ছেলের দাবি, এনআরসির কারণে পুরনো দলিল ঠিক করানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। দুঃচিন্তায় রাতে ভালো ঘুমও হত না। সেকারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই বৃদ্ধ। গত কয়েক দিন ধরেই এনআরসি-এর জন্য প্রয়োজনীয় নথি জোগাড় করতে পারছিলেন না আবদুস সাত্তার শেখও। আধার কার্ডের তথ্য সংশোধন করতে পারছিলেন না, খুঁজছিলেন পুরানো দলিল। দেশ ছাড়ার আতঙ্ক গ্রাস করেছিল ওই বৃদ্ধকে। অন্তত তেমনই দাবি পরিবারের লোকেদের। কাটোয়া দুই নম্বর ব্লকের বিডিও সমীক পাণিগ্রাহী জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্ক কাটাতে নতুনগ্রামে প্রশাসনিক আধিকারিকদের পাঠানো হবে। চলবে সচেতনতামূলক প্রচারও।