সংক্ষিপ্ত

করোনা পরিস্থিতির জন্য গত বছর বন্ধ ছিল এই মেলা। এ বছরও সেই একই সিদ্ধান্তে অনড় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এবারও মেলা বন্ধ রাখার  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

করোনা আতঙ্কে (Corona Scare) জেরবার গোটা দেশ। কোনওভাবেই যেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না। একবার নিয়ন্ত্রণে আসলেও আবার নতুন ভ্যারিয়েন্ট (Variant) নিয়ে হাজির হয়ে যাচ্ছে। কিছুতেই যেন এই ভাইরাসকে (Virus) বাগে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এখন আবার আতঙ্কের নতুন নাম ওমিক্রন (Omicron)। ইতিমধ্যেই দেশের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে এই ভ্যারিয়েন্ট। বাংলাতেও (West Bengal) এটি থাবা বসিয়ে দিয়েছে। আর এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই গত বছরের মতো এবারও হচ্ছে না পৌষমেলা (Poush Mela)। শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) এবারও পৌষমেলার আসর বসবে না বলে জানা গিয়েছে। 

করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) জন্য গত বছর বন্ধ ছিল এই মেলা (Mela)। এ বছরও সেই একই সিদ্ধান্তে অনড় বিশ্বভারতী (Visva Bharati) কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এবারও মেলা বন্ধ রাখার  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এবার পৌষমেলা না হলেও, পালিত হবে পৌষ উৎসব (Poush Festival)। প্রতি বছরের মতো এবারও ৭ পৌষ থেকে ৯ পৌষ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বৈতালিক, সানাই, উপাসনার মাধ্যমে পালিত হবে পৌষ উৎসব। শুধু তাই নয় এর সঙ্গে ২৫ ডিসেম্বর পালিত হবে খ্রিষ্ট উৎসবও। পাশাপাশি পালিত হবে শিক্ষাক্ষেত্রের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। সেই উপলক্ষে ইতিমধ্যেই আম্রকুঞ্জে জহর বেদি আলপনায় সেজে উঠেছে। মঞ্চের সদস্যরা জানিয়েছেন, পৌষমেলার মতোই আয়োজন এই মেলায়। সব মিলিয়ে হাজার খানেক স্টল হতে চলেছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই উৎসব হবে সীমিত সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে। সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠানগুলিতে নির্দিষ্ট পোশাকবিধিও (Dress) মানতে বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানের মধ্যে মোবাইল ফোন (Mobile Phone) নিয়ে যাওয়া বারণ করা হয়েছে।

এদিকে, দু বছর পৌষ মেলা না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা (Business)। অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে তাঁদের। একজন ব্যবসায়ীর জানিয়েছেন, 'প্রতি বছর পৌষমেলায় স্টল (Stall) দিতাম। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে মেলায় ঘুরতে আসতাম। খুবই পছন্দের মেলা ছিল আমাদের কাছে। প্রায় তিনবছর হতে চলল মেলা আর হয় না। স্বাভাবিক ভাবে প্রত্যেকেরই মন খারাপ।' তবে শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের নয় মন খারাপ সাধারণ মানুষেরও। আসলে এই মেলার সঙ্গে জড়িত রয়েছে আবেগ। আর সেই কারণেই মেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মন খারাপ সাধারণ মানুষের।