সংক্ষিপ্ত

ফের রাজ্যের বুকে ধর্ষণের ঘটনা।

আর এই ঘটনায় নাম জড়াল এক মুদি দোকানের মালিকের। বুধবার সকালে ওই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বীরভূমের সিউড়ি থানার অন্তর্গত একটি বাজারে। সেই ক্ষোভে মুদি দোকানে ভাঙচুর চালালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় সিউড়ি থানার পুলিশ। অভিযুক্ত আপাতত পলাতক। তবে তাঁর দাদাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।

সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি মুদি দোকানে গেছিল ঐ ১২ বছরের কিশোরী। চকোলেট কিনে বাড়ি ফেরার পথে দোকানদার তাঁকে ডাকে। মেয়েটি এরপর দোকানে গেলে তাঁকে ভিতরে যেতে বলেন ওই দোকানদার। অভিযোগ ওঠে, তারপর ধর্ষণ করা হয় সেই মেয়েটিকে। পরে নাবালিকাকে উদ্ধার করেন মুদি দোকানির এক প্রতিবেশী। তিনিই নাবালিকাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব কথা জানান তাঁর বাবা-মাকে।

এরপর মেয়েটিও কান্নাকাটি করে সব কথা জানিয়ে দেয়। কিন্তু ওই দোকানদারের অবশ্য এখন খোঁজ মেলেনি। বুধবার সকালে এই কথা জানাজানি হওয়ার পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ঐ এলাকায়। এমনকি, দোকানটিতে ভাঙচুর চালান স্থানীয়রা। পুলিশ গিয়ে তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।

সেইসঙ্গে, দোকানদারের পরিবারের এক সদস্যকেও আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যে মহিলা মেয়েটিকে দোকান থেকে উদ্ধার করেছিলেন, তিনি জানান, “আমি বাড়ির জানলার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সামনেই ঐ মুদির দোকানটি। একটি বাচ্চা মেয়ে দোকানে কিছু কিনতে এসেছিল। ও জিনিস কিনে চলেও যাচ্ছিল। হঠাৎ দেখি দোকানদার ওকে পিছু ডাকল। ও ঘুরে দাঁড়াল এবং দোকানে যেতেই একটা ঘরে ঢুকিয়ে নিল মেয়েটাকে। আমি অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি। কিন্তু মেয়েটিকে বাড়ি থেকে আর বেরোতে দেখিনি। তারপর স্বামীকে ঘটনাটা জানাই।”

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।