পুলিশের মতে, চক্রের সদস্যরা ব্যবসায়ী সেজে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাত এবং আস্থা অর্জনের পর ধীরে ধীরে টাকা দাবি করতে শুরু করে। এভাবে, ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়।
বিয়ে করতে এসে প্রতারণা। তাও ম্যাট্রিমনি সাইটে। কিন্তু সাইবার পুলিশের হাত থেকে রেহাই মিলল না। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়তে হল অভিযুক্তকে। এই ঘটনা হুগলিতে। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়ী সেজে বিয়ের নাম করা একটি সাইয়ে ঢুকে, সেখানে মহিলা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের থেকে অজান্তেই টাকা লুঠ করে। এমনই একটি ঘটনার তদন্তে সাফল্য পেয়েছে হুগলির গ্রামীণ পুলিশ।
হুগলি গ্রামীণ সাইবার পুলিশ কামারকুন্ডু এলাকায় তদন্ত করে সাফল্য পায়। অনলাইন প্রতারণার একটি বড় চক্রের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। কামারকুন্ডু সাইবার ক্রাইম থানার সীমানায় একটি সংঘবদ্ধ অনলাইন প্রতারক চক্রকে পুলিশ ধরেছে, যারা ম্যাট্রিমোনিয়াম সাইটে বিয়ের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করত। এই ঘটনায় পুলিশ দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশের মতে, চক্রের সদস্যরা ব্যবসায়ী সেজে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাত এবং আস্থা অর্জনের পর ধীরে ধীরে টাকা দাবি করতে শুরু করে। এভাবে, ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়। জহির নামের অভিযুক্তকে ১০ জুলাই মধ্যরাতে খানাকুল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, আর অভিষেককে ৩ জুলাই ঝাড়খণ্ডের দেওঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাইবার পুলিশ স্টেশনের ইন্সপেক্টর কৌশিক সরকারের নেতৃত্বে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যেখানে অতিরিক্ত এসপি হেডকোয়ার্টার্স কল্যাণ সরকারও নির্দেশনা দিয়েছিলেন। মামলার অভিযোগ দায়ের করা হয় ২৬ মে ২০২৫ তারিখে, এরপর ২৭ মে মামলা নম্বর ১২/২৫ ধারা বিএনএস ৩৫/৩ এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয় এবং তদন্ত শুরু হয়। পুলিশ তদন্তে জানা গেছে যে অভিযুক্তরা জাল আইডির মাধ্যমে এই পুরো নেটওয়ার্কটি পরিচালনা করছিল। বর্তমানে, পুলিশ এই চক্রের বাকি সদস্যদের খুঁজছে এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, যাতে জালিয়াতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়।
পুলিশের অনুমান এই চক্রের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি যুক্ত রয়েছে। বড় অঙ্কের টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান এখনও সব প্রতারিত মানুষ অভিযোগ জানায়নি। তাই ব্যাঙ্কের কাগজপত্রের সন্ধান করা হচ্ছে, যাতে তছরুপের পুরো হিসেব নিকেশ করতে পারে পুলিশ।


