- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কী? রাজ্যের একটি সিদ্ধান্তে চাপ বাড়ছে প্রকল্প নিয়ে
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কী? রাজ্যের একটি সিদ্ধান্তে চাপ বাড়ছে প্রকল্প নিয়ে
রাজ্যের খরচের উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে। যারমধ্যে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত প্রকল্পের নামও।

বিধান সভায় বাজেট অধিবেশনে বাড়েনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা। এটি রাজ্যের সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়বে- অপেক্ষায় বসে রয়েছেন রাজ্যের মহিলারা। কিন্তু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার রাজ্যের অর্থনীতি ঠিক রাখতে একাধিপ পদক্ষেপ করছে। যারমধ্যে অন্যতম হল খরচের উর্ধ্বসীমা বেধে দিয়েছে।
নবান্নে অর্থ দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, প্রত্যেক দফতরকেই খরচের উর্ধ্বসীমা বেঁধে রাখতে হবে। সর্বোচ্চ ৩ কোটি টাকার বেশি খরচ করতে পারবে না কোনও দফতর।
রাজ্যের এই উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে। যারমধ্যে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত প্রকল্পের নামও।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মুখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকে টানা চলছে এই প্রকল্প। এটির মাধ্যমে রাজ্যের মহিলাদের হাতে প্রতি মাসে ১৫০০ ও পিছিয়ে পড়াদের হাতে ১৮০০ টাকা করে দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
কিন্তু খরচের উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ায় কিছুটা হলেও চাপ বাড়তে পারে জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের ওপর। যদিও ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট। তাই এই জাতীয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্পে কাটছাঁট করা হবে না বলেও মনে করছেন অনেকে।
খরচের উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার কারণ হল, কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের ভার মমতা সরকার নিজের হাতে তুলে নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয় না বলে অভিযোগ। তাই খরচের উর্ধ্বসীমা বেঁধেছে রাজ্য।
বর্তমানে সড়ক, আবাস, ১০০ দিনের কাজ-সহ একাধিক প্রকল্প রাজ্য সরকার নিজে থেকেই চালাচ্ছে। পাশাপাশি চলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত প্রকল্প। সেই কারণে কোষাগারের ওপর প্রবল চাপ পড়ছে।
অর্থসচিব প্রভাতকুমার মিশ্রের সই করা এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে, এখন থেকে প্রতিটি প্রকল্পের ছাড়পত্রের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের উপদেষ্টার অনুমোদন বাধ্যতামূলক।
তাই অনেকেই মনে করছেন নতুন করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত প্রকল্পের টাকা বাড়াবে না রাজ্য। তবে ভোট বড় বালাই। তাই আশা ছাড়তে নারাজ মহিলা ভোটারা।

