সংক্ষিপ্ত
তিলোত্তমাকে নিয়ে শর্ট ফিল্ম! 'পিঠ বাঁচাতেই সাসপেনশন, ছবির ব্যাপারে কি কিছুই জানতো না তৃণমূল?' উঠছে প্রশ্ন
আরজিকরকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় দেশ! শুধু দেশ নয়, আন্দোলনের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে বিদেশেও। কিন্তু এত সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে শর্ট ফিল্ম! তার পোস্টারে আবার ‘তিলোত্তমা’র নাম। পাশে স্টোথো ঝুলিয়ে, সাদা অ্যাপ্রনে দাঁড়িয়ে রাজন্যা! পোস্টারে লেখা ‘ তিলোত্তমাদের গল্প’।
শুধু তাই নয়, ছড়িয়ে পড়েছে আরও একটা ভিডিও যেখানে অ্যাপ্রন পরে গলায় স্টেথো ঝুলিয়ে মাঠে শুয়ে আছেন রাজন্যা। আর ছবিতে দেখা যাচ্ছে তাঁর ক্ষত-বিক্ষত চেহারা। দৃশ্যতে অভিনেত্রী বলছেন, “ হয়ে গিয়েছে, এবার উঠব?”। ব্যাস এতেই রেগে আগুন নেটিজেনরা । কীভাবে এত সংবেনশীল বিষয় প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে? তাই দেখে রীতিমতো চটে গিয়েছেন সকলে। ‘নির্যাতিতার অভিনয়ের এই ছিড়ি’ বলে সমালোচনা করেছেন হাজার হাজার মানুষ। সমালোচনার ঝড়ে শেষমেষ টনক নড়েছে তৃণমূলেরও। সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রান্তিক চক্রবর্তী ও রাজন্যা হালদারকে।
৯ অগাস্ট সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার করা হয় তরুণী চিকিৎসকের মৃত দেহ। আর সমালোচিত এই ছবি মুক্তি পেতে চলেছে ২রা অক্টোবর মহালয়ার দিন। অর্থাৎ ৫০ দিনের মধ্যেই শেষ শ্যুটিং। সম্মতি মিলেছে সেন্সর বোর্ড থেকেও। 'তিলোত্তমাকে ব্যবহার করে যে এই ছবি বানানো হচ্ছে তার আঁচ কি সত্যিই পায়নি তৃণমূল? এমনই প্রশ্ন উঠেছে সাসপেনশনের পর থেকে। ‘তবে কি ইমেজ বাঁচাতে তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্ত’ এমনও দাবি করেছেন নেটিজেনরা।
এই প্রসঙ্গে নিজের মতামত দিয়েছেন কুণাল ঘোষও। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “আরজিকর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে একটি শর্টফিল্মের খবর এসেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা তিলোত্তমার ঘটনার ন্যায়বিচার চাই। এই স্পর্শকাতর বিষয়কে প্রচারে ব্যবহার করার চেষ্টার আমরা বিরোধী। যে কোনও ব্যক্তির স্বাধীনতা আছে সৃষ্টিতে। কিন্তু তদন্তাধীন এই মর্মান্তিক ঘটনাকে দলের সঙ্গে জড়িত কেউ যদি ছবির প্রচারে ব্যবহার করে, দল তার দায়িত্ব নেবে না। দল এবিষয়ে কোনও অনুমতি দেয়নি, দল জানত না। যে বা যারা এর সঙ্গে জড়িত, খতিয়ে দেখে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বকে বলা হয়েছে।”
“কিন্তু দলের প্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও প্রান্তিক-রাজন্যার ছবি নিয়ে কিছুই জানত না দল? নাকি জনগনের চাপে নিজেদের সুর বদলাতে বাধ্য হয়েছে ফের,” এমনই কটাক্ষ ঘুড়ে বেড়াচ্চে চারিদিকে।
তবে পরের পর তৃণমূল নেতৃত্বের কর্মকাণ্ড নিয়ে সারাক্ষণই স্বর গরম থাকছে সামাজিক মাধ্যমে। কখনও “কিউসেক কে কুইন্টাল ” বা কখনও তিলোত্তমাকে ব্যবহার করে শর্ট ফিল্ম" তৃণমূল নেতৃত্বের কর্মকাণ্ড নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ।